চমেকে একদিনে রেকর্ড ৫১৫ নমুনা পরীক্ষা
নিজস্ব প্রতিবেদক :
২৪ ঘন্টায় করোনায় নতুন শনাক্ত হয়েছে ২৯৭ জন এবং মারা গেল তিনজন। এছাড়া সুস্থ হয়েছে ২৯ জন। গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, শেভরন ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ১ হাজার ৩৬০টি নমুনার মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ২৯৭ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে ২২৯ জন মহানগরীর ও উপজেলার রয়েছে ৬৮ জন। এতে চট্টগ্রামে এপর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ৪৭৭ জন এবং এদের মধ্যে মারা গেছে ১৯৮ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ১২৬৫ জন।
এদিকে সিভিল সার্জন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ১৭৬ টি নমুনার মধ্যে ১৫টি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, এরমধ্যে ৯ জন মহানগরীর ও ৬ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫৯টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ পাওয়া গেছে ৪২ জনের, এদের মধ্যে ৩৫ জন নগরীর ও ৭ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৫১৫টি নমুনার মধ্যে ১১১ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, এদের মধ্যে মহানগরীর ৯৪ জন ও উপজেলার ১৭ জন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০৫টি নমুনার মধ্যে ৪৪ জন পজিটিভ হয়েছে, এদের মধ্যে ৩৫ জন নগরীর ও ৯ জন উপজেলার বাসিন্দা। শেভরনে ১০৪ টি নমুনার মধ্যে ৩৪ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে, এদের মধ্যে ২৯ জন মহানগরীর ও ৫ জন উপজেলার বাসিন্দা। অপরদিকে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাব ও ইম্পেরিয়াল হামপাতালের কোনো রিপার্ট পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ৫১৫ নমুনার পরীক্ষা
একদিনে ৫০০ বা এর বেশি নমুনা চট্টগ্রামের কোনো ল্যাবে এতোদিন হয়নি। বেশিরভাগ ল্যাবে গড়ে ৩০০ নমুনা করে পরীক্ষা হয়েছে। তবে গতকাল সোমবার একদিনে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ৫১৫টি নমুনার পরীক্ষা হলো। এই কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বর্তমানে দুটি পিসিআর মেশিন দিয়ে পরীক্ষা কার্যক্রম চলছে। এবিষয়ে ল্যাবের ইনচার্জ ডা. আবুল কালাম বলেন,‘ আমরা দুটো মেশিন দিয়ে এই পরীক্ষা চালাচ্ছি। সবসময় চেষ্টা করছি বেশি নমুনা পরীক্ষা করার জন্য।’
এদিকে গত সোমবার নতুন করে ২৯৭ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ১০,৪৭৭ জন। এর আগে ৫ জুলাই ২৯২ জন, ৪ জুলাই ২২০ জন, ৩ জুলাই ২৬৩ জন, ২ জুলাই ২৮২ জন, ১ জুলাই ২৭১ জন, ৩০ জুন ৩৭২ জন, ২৯ জুন ৪৪৫ জন, ২৮ জুন ৩৪৬, ২৭ জুন ৬৪ জন, ২৬ জুন ১৫৯ জন, ২৫ জুন ২৪৬ জন, ২৪ জুন ২৪১ জন, ২৩ জুন ২৮০ জন, ২২ জুন ২১৭ জন, ২১ জুন ১৯২ জন, ২০ জুন ১৯৪ জন, ১৯ জুন ১৮৭ জন, ১৮ জুন ১৪৮ জন, ১৭ জুন ১৭৮ জন, ১৬ জুন ১৭৯ জন, ১৫ জুন ১৭১ জন, ১৪ জুন ১৫১ জন, ১৩ জুন ২৬৯ জন, ১২ জুন ২২২ জন, ১১ জুন ২০৭ জন, ১০ জুন ১০৮ জন, ৯ জুন ১১৩ জন, ৮ জুন ৯৯ জন, ৭ জুন ১০৬ জন, ৬ জুন ১৫৬ জন, ৫ জুন ১৪০ জন, ৪ জুন ১৩২ জন, ৩ জুন ১৪০ জন, ২ জুন ২০৬ জন, ১ জুন ২০৮ জন, ৩১ মে ১৬০ জন, ৩০ মে ২৩৭ জন, ২৯ মে ১৫৯ জন, ২৮ মে ২২৯ জন, ২৭ মে ২১৫ জন, ২৬ মে ৯৮ জন, ২৫ মে ১০৩ জন, ২৪ মে ৬৫ জন, ২৩ মে ১৬৬ জন, ২২ মে ১৬১ জন, ২১ মে ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিলস্না ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রান্ত হয়েছিল।