নিজস্ব প্রতিবেদক :
তিন হাজার অতিক্রম করলো করোনা আক্রানত্ম রোগীর সংখ্যা। গতকাল ২০৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ৬৩১টি নমুনার মধ্যে ২০৮টি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ২০৮টির মধ্যে ১৪২টি মহানগরীর এবং ৬৩টি উপজেলার এবং তিন জনের ঠিকানা পাওয়া যায়নি। নতুন করে ২০৮ জন শনাক্ত হওয়ায় চট্টগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩,১৯৩ জন, এদের মধ্যে সুস’ হয়ে বাড়ি গেছে ২২৭ জন এবং মারা গিয়েছে ৭৯ জন।
সিভিল সার্জন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে তিনদিন নমুনা পরীড়্গা বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে শুরম্ন হয়েছে। আর এই ল্যাবটিতে ২১২টি নমুনার মধ্যে ৪৭টি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, এরমধ্যে ৩৮টি চট্টগ্রাম মহানগরীর এবং ৯টি বিভিন্ন উপজেলার। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৬১টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ হয়েছে ১০১ জনের, এই ১০১ জনের মধ্যে ৯৬ জন মহানগরীর এবং ৫ জন বিভিন্ন উপজেলার। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫৩টি নমুনার মধ্যে ৫৮ জন করোনা পজিটিভ হয়েছে, এরমধ্যে ৮ জন মহানগরীর এবং ৪৭ জন বিভিন্ন উপজেলার ও তিন জনের ঠিকানা পাওয়া যায়নি। অপরদিকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৫ জনের নমুনা পরীড়্গায় দুই জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই দুই জন আবার উপজেলার বাসিন্দা।
এদিকে গতকাল সোমবার নতুন করে ২০৮ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ৩,১৯৩ জন। এর আগে ৩১ মে ১৬০ জন, ৩০ মে ২৩৭ জন, ২৯ মে ১৫৯ জন, ২৮ মে ২২৯ জন, ২৭ মে ২১৫ জন, ২৬ মে ৯৮ জন, ২৫ মে ১০৩ জন, ২৪ মে ৬৫ জন, ২৩ মে ১৬৬ জন, ২২ মে ১৬১ জন, ২১ মে ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিলস্না ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রানত্ম হয়েছিল।