চট্টগ্রামে ছাত্রদলকর্মীর মৃত্যুতে পুলিশের ঘাড়ে দোষ দিলেন ডা. শাহাদাত

সুপ্রভাত ডেস্ক »

চট্টগ্রামের বাকলিয়ার এক্সেস রোড এলাকায় যুবদলের দু’পক্ষের গোলাগুলিতে ছাত্রদলকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের ওপর দোষ দিলেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

‎ঘটনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিছু ছেলে আমার কাছে এসেছিল। তারা বলছে, গন্ডগোল হতে পারে, এখানে বেশ উত্তেজিত পরিবেশ। ঘটনার ঘণ্টাখানেক আগে আমি পুলিশ কমিশনারকে বলেছি এক্সেস রোডের বিষয়টি এবং ওই ছেলেগুলোকে গ্রেপ্তার করতে বলেছি। আমি সম্পূর্ণ দোষ দেব বাকলিয়া থানাকে। তারা যদি সুনির্দিষ্ট এই ছেলেগুলোকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসতো, তাহলে এই ঘটনা ঘটতো না।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর)  চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি প্রকল্প উদ্ভোদন শেষে এসব কথা বলেন।

মেয়র শাহাদাত বলেন, ‎‘বাকলিয়া থানার ওসিসহ যারা দায়িত্বে ছিলেন, তাদের গতিবিধি নিয়ে আমার যথেষ্ট প্রশ্ন আছে। বাকলিয়া থানার ওসিকে সপ্তাহ ১০দিন আগে বলেছি বোরহান, সোহেল এই ছেলেগুলোকে গ্রেপ্তার করার জন্য। কিন্তু আমার প্রশ্ন আছে, তারা আদৌ ভালোমতো কাজ করছে কি-না।’

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে– আওয়ামী লীগের কোনো না কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরামর্শে এই থানা চলছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশ কমিশনারকে বলেছি। পুলিশ কমিশনার ওসিকে বলেছেন। কিন্তু কেন জানি ওসি তাদেরকে গ্রেপ্তার করছেন না। ‎যদি আমার দলের কেউ তাদেরকে শেল্টার দেয়। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। ওসিকে আমি নাম ধরে বলেছি। আজকে মিডিয়ার সামনে বলছি।’

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‎১০-১২ দিন আগে তারা একটি ঘটনা ঘটিয়েছে। আমাদের যুবদলের ছেলেদের তারা অ্যাটাক করেছিল। ওই সময় তাদেরকে থানায় নেওয়া হয়েছিল, সেখান থেকে তারা জামিন নিয়ে বের হয়েছে। ছেলেগুলো দীর্ঘদিন ধরে এই কাজগুলো করছে। ‎সন্ত্রাসীদের কোনো দল নেই। আমি এই শহরকে নিরাপদ শহর হিসেবে দেখতে চাই। আমি চাই না এখানে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের অভয়ারণ্যে পরিণত হোক।

এর আগে গতকাল (সোমবার) গভীর রাতে যুবদলের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে মো. সাজ্জাদ নামে ছাত্রদলকর্মীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।

নগরের বাকলিয়া এক্সেস রোডের বগার বিলমুখ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও দলীয় সূত্র বলছে, ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়।

নিহত সাজ্জাদ নগর যুবদলের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক (বহিষ্কৃত) এমদাদুল হক বাদশার অনুসারী।

দলীয় সূত্র বলছে, এমদাদুল ও নগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহর অনুসারীদের মধ্যে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গোলাগুলির ঘটনায় জড়িত হিসেবে নাম আসা সিরাজের অনুসারী নগর ছাত্রদলের সাবেক আপ্যায়নবিষয়ক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন। তবে তিনি এখন নিজেকে যুবদলের সংগঠক হিসেবে দাবি করছেন। যদিও এখন যুবদলের কমিটি নেই।