সুপ্রভাত ডেস্ক »
চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন সংখ্যক নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৫৩ জনের নমুনায় ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ। একই দিনে জেলায় ৩ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজ পাঠানো রিপোর্ট থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
রিপোর্টে দেখা যায়, নিয়মিত ১৩ টি ল্যাবরেটরির পরিবর্তে গতকাল আটটি ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ১১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন পজিটিভ ৫৩ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৩০ জন ও বারো উপজেলার ২৩ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে চন্দনাইশে সর্বোচ্চ ৫ জন, সীতাকু- ও সাতকানিয়ায় ৪ জন করে, বোয়ালখালীতে ৩ জন, বাঁশখালীতে ২ জন, হাটহাজারী, মিরসরাই, রাউজান, সন্দ্বীপ ও পটিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ৮০১ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৩ হাজার ৮৫ জন ও গ্রামের ২৭ হাজার ৭১৬ জন।
গতকাল করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গ্রামের ৩ জন মারা যান। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজর ২৬৮ জন হয়েছে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭০২ জন ও গ্রামের ৫৬৬ জন।
উল্লেখ্য, গতকাল ছিল বিগত ১১৮ দিনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সবচেয়ে কম সংক্রমণ। সর্বশেষ ১৬ মে’র চেয়ে কম ৩৭ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তবে এদিন নমুনা পরীক্ষা হয় অনেক কম। সাত ল্যাবে মাত্র ৩৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়, সংক্রমণের হার ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টার সংক্রমণ হার সাম্প্রতিককালে সবচেয়ে কম। তবে ৩ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এ মাসের প্রথম ১১ দিনে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৩৬ জনে পৌঁছেছে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকালও সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে ৫৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৫ ও গ্রামের ১২ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১৭২ টি নমুনার মধ্যে শহরের ১৭ ও গ্রামের ৮ জনের করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১২ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে একজনও আক্রান্ত মেলেনি। নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৫ টি নমুনায় গ্রামের ২ টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবগুলোর মধ্যে শেভরনে ২৫৬ টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ১ টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ৩৯ নমুনায় শহরের ৬ টি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৪১ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ২ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের ২৬ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোরই ফলাফল নেগেটিভ আসে।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।