ডেস্ক রিপোর্ট »
চট্টগ্রামের গ্রাহকেরা স্বল্প চাপে হলেও গ্যাস পেতে শুরু করেছেন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। টার্মিনাল থেকে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরুর পর ধীরে ধীরে গ্যাসের চাপ বাড়তে থাকে। চাপ বাড়লে সরবরাহ বাড়ে। এরপর তা বিতরণ সংস্থা হয়ে গ্রাহকের কাছে যায়।
চট্টগ্রামে গ্যাসের চাপ ধীরে ধীরে বাড়ছে এবং শনিবার দুপুর নাগাদ স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)।
রক্ষণাবেক্ষণ শেষে আনা মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির এলএনজি টার্মিনাল সময়মতো চালু করতে না পারায় গতকাল দেশের পূর্বাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। টার্মিনালে কারিগরি ত্রুটির কারণে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জসহ ছয় জেলায় গ্যাস সরবরাহে বিপর্যয় ঘটে।
চট্টগ্রাম যেহেতু পুরোটাই এলএনজি–নির্ভর, তাই সেখানে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ ছিল।
সাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে সরবরাহ করা গ্যাস দিয়েই মেটানো হয় চট্টগ্রাম অঞ্চলের আবাসিক, শিল্প কারখানা ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের চাহিদা। প্রতিদিন গড়ে ৩২৫ মিলিয়ন ঘনফুট (সিএফটি) চাহিদা থাকলেও পাওয়া যাচ্ছিল ২৯০ সিএফটি।
নোটিস ছাড়াই গ্যাস বন্ধ হওয়ায় আবাসিক সংযোগ ব্যবহারকারী নাগরিকদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। বন্ধ হয়ে যায় এ অঞ্চলের সকল সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন, তিনটি সার কারখানা ও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রসহ ছোট ছোট বিভিন্ন শিল্পকারখানা।