সুপ্রভাত ডেস্ক »
১৫ দফা দাবিতে সারাদেশে কর্মবিরতি শুরু করেছে বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার পণ্যপরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ট্রাকচালক শ্রমিক ফেডারেশন। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে এ কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। ৭২ ঘণ্টা এ কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
১৫ দফা দাবি না মানায় সারাদেশে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। কর্মবিরতির কারণে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান চলাচল বন্ধ আছে। চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য নিয়ে কোনো ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও প্রাইমমুভার প্রবেশ করছে না। একইভাবে বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে কোনো গাড়ি বেরও হচ্ছে না।
এদিকে ধর্মঘটের সমর্থনে সল্টগোলা এলাকায় মিছিল-সমাবেশ করেছে শ্রমিকরা। এ সময় তারা ১৫ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।
তাদের ১৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- মোটরযান মালিকদের ওপর আরোপিত অগ্রিম আয়কর বা বর্ধিত আয়কর অবিলম্বে বাতিল করতে হবে; ইতোমধ্যে আদায় করা বর্ধিত কর স্ব স্ব মালিককে ফেরত দিতে হবে; পুলিশের ঘুষ বাণিজ্যসহ সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করতে হবে; গাড়ির কাগজপত্র চেকিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করতে হবে; যেসব চালক ভারী মোটরযান চালাচ্ছে তাদের সহজ শর্তে এবং সরকারি ফি এর বিনিময়ে অবিলম্বে ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে; সব শ্রেণির মোটরযানে নিয়োজিত সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মতো রেশনিং সুবিধার আওতায় আনতে হবে; চট্টগ্রামে অবস্থিত ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মনোনীত প্রতিনিধি এবং সব ড্রাইভার ও সহকারীকে চট্টগ্রাম বন্দরে হয়রানিমুক্ত প্রবেশের সুবিধার্থে বাৎসরিক নবায়নযোগ্য বায়োমেট্রিক স্মার্টকার্ড দিতে হবে; প্রতি ৫০ কিলোমিটার পরপর পণ্যপরিবহন শ্রমিকদের জন্য দেশের সড়ক-মহাসড়কের নিরাপদ দূরত্বে বিশ্রামাগার ও কার্ভাডভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার টার্মিনাল নির্মাণ করতে হবে; সারাদেশের জন্য একই পরিমাণ ওজন নির্ধারণ করে অতিরিক্ত (ওভারলোড) পণ্যপরিবহন বন্ধে লোডিং পয়েন্ট তথা পণ্যপরিবহনের উৎসস্থলে সরকার নির্ধারিত ওজন নিশ্চিত করে পণ্যবাহী গাড়িগুলোতে মালামাল লোড করতে হবে; লোড করা গাড়িগুলোকে উৎসস্থলে পণ্যের ওজনস্লিপ দিতে হবে।
গত শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কদমতলীতে আন্তঃজেলা মালামাল পরিবহন সংস্থা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।