মহানগরে ৭৯, উপজেলায় ৯২, রাউজানে একদিনেই ২০ জন
২৪ ঘন্টায় মারা গেল ৩ জন, সুস্থ হলো ৫৬ জন
নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলার ৯ উপজেলা লাল তালিকাভুক্ত হওয়ার পর উপজেলাগুলোতে যেনো আক্রানেত্মর হার আরো বেড়ে গেছে। গত সোমবার একদিনে ১৪ উপজেলায় ৯২ জন নতুন করে করোনা পজিটিভ হয়েছেন, আর এসব উপজেলার মধ্যে লালতালিকার রাউজানে একদিনে আক্রানত্ম হয়েছেন ২০ জন। গত সোমবার একদিনে চট্টগ্রামে নতুন করে করোনায় আক্রানত্ম হয়েছেন ১৭১ জন। এর আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ১৫১ জন। এদিকে গত সোমবার আক্রানত্ম হওয়া ১৭১ জনের মধ্যে মহানগরীতে ৭৯ জন ও উপজেলাগুলোতে ৯২ জন। এতে চট্টগ্রামে মোট আক্রানেত্মর সংখ্যা দাঁড়ায় ৫ হাজার ৪০৬ জন, এদের মধ্যে সুস’ হয়ে বাড়ি গেছেন ৪৫৭ জন এবং মারা গেছেন ১২৪ জন। অপরদিকে গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছে তিন জন এবং সুস’ হয়েছেন ৫৬ জন।
সিভিল সার্জন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ২৩৫টি নমুনার মধ্যে ৪৬টি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, এই ৪৬ জনের মধ্যে ১৯ জন মহানগরের এবং ২৭ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ পাওয়া গেছে ১৫ জনের, এই ১৫ জনের মধ্যে একজন মহানগরীর এবং ১৪ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৩৭টি নমুনার মধ্যে ৪২ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, ৪২ জনের মধ্যে ৪০ জন নগরীর এবং ২ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫৫টি নমুনার মধ্যে ৫৯ জন পজিটিভ হয়েছে, এই ৫৯ জনের মধ্যে ১৯ জন মহানগরীর এবং ৪০ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৮ জনের নমুনায় ৯ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে এবং সকলে উপজেলার বাসিন্দা। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে গত সোমবারের নমুনা রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
উপজেলাগুলোতে আক্রানত্ম হওয়া ৯২ জনের মধ্যে লোহাগাড়ার ১২ জন, সাতকানিয়ায় ১২ জন, বাঁশখালীতে একজন, আনোয়ারায় ৫ জন, বোয়ালখালীতে ১০ জন, রাউজানে ২০ জন, ফটিকছড়িতে ৫ জন, হাটহাজারিতে ১১ জন, সীতাকুন্ডে ৪ জন ও মিরসরাইয়ের ১২ জন রয়েছেন।
এদিকে গত সোমবার নতুন করে ১৭১ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ৫,৪০৬ জন। এর আগে ১৪ জুন ১৫১ জন, ১৩ জুন ২৬৯ জন, ১২ জুন ২২২ জন, ১১ জুন ২০৭ জন, ১০ জুন ১০৮ জন, ৯ জুন ১১৩ জন, ৮ জুন ৯৯ জন, ৭ জুন ১০৬ জন, ৬ জুন ১৫৬ জন, ৫ জুন ১৪০ জন, ৪ জুন ১৩২ জন, ৩ জুন ১৪০ জন, ২ জুন ২০৬ জন, ১ জুন ২০৮ জন, ৩১ মে ১৬০ জন, ৩০ মে ২৩৭ জন, ২৯ মে ১৫৯ জন, ২৮ মে ২২৯ জন, ২৭ মে ২১৫ জন, ২৬ মে ৯৮ জন, ২৫ মে ১০৩ জন, ২৪ মে ৬৫ জন, ২৩ মে ১৬৬ জন, ২২ মে ১৬১ জন, ২১ মে ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিলস্না ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রানত্ম হয়েছিল।