সুপ্রভাত ডেস্ক »
বুধবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে বন্দরের প্রায় আটশো লাইটার জাহাজ পণ্য লোড এবং চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের ৩ দফা দাবিতে চট্টগ্রামে বুধবার (২৪ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে লাইটার জাহাজে পণ্য বোঝাই এবং চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন।
চরপাড়া ঘাট ইজারা বাতিল, চট্টগ্রাম বন্দরে লাইটারেজ জাহাজ নিরাপদে নোঙ্গর করার ব্যবস্থা এবং লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুর রহিমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এই কর্মসূচী ঘোষণা করেছে সংগঠনটি।
বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল হয়। এ সময় অনির্দিষ্টকালের জন্য লাইটার জাহাজ চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন শ্রমিক নেতারা। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি নবী আলম।
নবী আলম বলেন, “লাইটার জাহাজের শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে যারা অসদাচরণ করেছেন তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এছাড়া চট্টগাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের আরো যে দুটি দাবি আছে সেগুলো মানতে হবে। ঘাট ইজারা বাতিল ও নিরাপদ নোঙ্গরের বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষকে আমরা একাধিকবার চিঠি দিয়েছিলাম। বন্দর চেয়ারম্যানের সাথে একাধিকবার বৈঠকও হয়েছিলো। কিন্তু এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই আমরা বুধবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে বন্দরের বহির্নোঙ্গর থেকে প্রায় আটশো লাইটার জাহাজে পণ্য লোড এবং চলাচল বন্ধ রাখার কর্মসূচী দিয়েছি।”
এদিকে বুধবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস ও জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন লাইটার জাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল (ডব্লিউটিসি)। প্রতিষ্ঠানটির যুগ্ম সচিব (অপারেশন) আতাউল কবির রঞ্জু বুধবার সকাল ১টায় এই প্রতিবেদককে বলেন, বহির্নোঙ্গরে মাদার ভেসেল থেকে পণ্য লোডিং কার্যক্রম চলছে। দেশের বিভিন্ন নৌরুটে জাহাজ চলাচলও স্বাভাবিক আছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো: ওমর ফারুক বলেন, “লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে অবহিত করলে বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।”
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে মাদার ভেসেল ( বড় জাহাজ) থেকে পণ্য বোঝাই করে দেশের বিভিন্ন নৌরুটে পৌছে দেয় ছোট আকারের লাইটার জাহাজ।
সূত্র : টিবিএস