সুপ্রভাত ডেস্ক »
চার দিন আগে চট্টগ্রামের খুলশীতে ছুরিকাঘাতে হানিফ হত্যা মামলায় প্রধান আসামিসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
এরা হলেন- আমির হোসেন (৫০) ও তার তিন ছেলে সোহাগ (২৩), সোহেল (২১) ও হাসান (১৯)।
প্রথম দুজনকে শরীয়তপুরের নরিয়া ও বাকিদের ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে শনিবার গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ।
সাংবাদিকদের রোববার তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর আসামিরা প্রথমে নগরীর কর্নেলহাট এলাকায় এক স্বজনের বাসায় আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে সোহেল ও হাসান নড়িয়ায় এক মামার বাড়িতে এবং বাকি দুজন কেরানীগঞ্জে আশ্রয় নেন।
শনিবার বিকালে সোহেল ও হাসানকে প্রথম গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের বাবা ও আরেক ভাই সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা ইউসুফ বলেন, গ্রেপ্তার আমির হোসেনের বাড়ি শরীয়তপুরে হলেও তিনি ছোটোবেলা থেকে আমবাগান এলাকায় থাকেন। তিনি ‘আমির ডাকাত’ নামেও পরিচিত। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্রসহ তিনটি মামলা আছে। আমির তার চার ছেলের মধ্যে তিনজনকে ‘কিশোর গ্রুপে’ সম্পৃক্ত করে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করত।
তিনি বলেন, নিহত হানিফ এবং তার ভাই আহত অনিকও আলাদা একটি কিশোর গ্রুপের সদস্য। তারা রেলের বিভিন্ন স্থাপনার অবৈধ দখলে রেখেছে। সেগুলো নিয়ে সোহেলদের সাথে তাদের দ্বন্দ্ব ছিল।
“আমির আমবাগান এলাকায় স্থানীয় একটি ফুটবল টুর্নামেন্টে আর্থিক পৃষ্টপোষকতা করেছিলেন, যেটা মেনে নিতে পারেনি হানিফ ও অনিক। সেটা নিয়েও তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়েছিল।
“ঘটনার দিন আমির ও তার ছেলে সোহেল দলবল নিয়ে খেলার মাঠে যায়। সেখানে হানিফদের সাথে তাদের কথাকাটাকাটি হয়। এসময় সোহেল একটি ছোট ছুরি দিয়ে হালিমকে বুকে এবং অনিককে পায়ে আঘাত করে।”
গত ৮ নভেম্বর বিকালে খুলশী থানার আমবাগান শহীদ মিনার সংলগ্ন তরুণ সংঘের মাঠে প্রতিবেশীর ছুরিকাঘাতে খুন হয় মো. হানিফ নামে এক যুবক। এসময় তার আরেক ভাই মো. অনিককেও ছুরিকাঘাতে আহত করা হয়।
এ ঘটনায় তাদের বড় ভাই মো. জয়নাল বাদি হয়ে ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করে খুলশী থানায়। হত্যাকাণ্ডের পরপর পুলিশ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান খুলশী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহীদুর রহমান।
সূত্র : বিডিনিউজ