চসিক প্রশাসককে রেলমন্ত্রী
রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন এমপি বলেছেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী গৃহীত মেগা প্রকল্পের সঙ্গে আমাদের স্বার্থ এক ও অভিন্ন। দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বন্দরনগর চট্টগ্রাম এগিয়ে গেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন গতকাল সোমবার সকালে মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সচিবালয়ের দপ্তরে সাক্ষাতকালে তিনি একথা বলেন। এ সময় ফজলে হোসেন বাদশা এমপি ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সেলিম রেজা উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাতকালে খোরশেদ আলম সুজন নগরীর মাদারবাড়ি এলাকায় বরাদ্দের টাকা ও জমির উন্নয়ন বাবদে টাকা পরিশোধের পরও ৭ একর জায়গা চসিকের দখলে থাকা সত্ত্বেও ওই জমির বরাদ্দ বাতিল হওয়ার বিষয়ে রেলমন্ত্রীকে অবহিত করেন এবং তা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। মন্ত্রী প্রশাসকের বক্তব্য শুনে তা মীমাংসার আশ্বাস দেন।
প্রশাসক সুজন মন্ত্রীর নিকট মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্প পার্কের গুরুত্ব অনুধাবন করে ওই এলাকার সাথে শহরকেন্দ্রীক মানুষের যোগাযোগের সুবিধার্থে কয়েক জোড়া শাটল ট্রেন চালু ও চট্টগ্রাম দোহাজারি রুটে কমপক্ষে ৪ জোড়া ট্রেন চালুর প্রস্তাব করেন।
এ সময় চট্টগ্রাম নগরীকে পরিচ্ছন্ন, পরিবেশবান্ধব মানবিক শহরে পরিণত কতে আরো বেশ কিছু প্রস্তাবনা রেলপথ মন্ত্রীর বরাবরে উত্থাপন করেন চসিক প্রশাসক সুজন।
প্রশাসক সুজন চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারবাহী রেল লাইনের সংস্কার ও বগি বাড়ানো, পাহাড়তলীতে স্থাপিত রেল ওয়ার্কশপ পুনরায় চালু ও সংস্কার করা, নগরীর নতুন রেল স্টেশনের সামনে চসিক বা রেলের উদ্যোগে মাল্টি স্টোর বা বহুমুখি পার্কিং চালুকরণ ও রেলওয়ের মালিকানাধীন পাহাড়তলী জোড় ডেবা সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করার প্রস্তাব করেন।
প্রশাসক সুজন তাঁর প্রস্তাবনার বিষয়ে বেশ কিছু যুক্তি মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। বন্দরের কন্টেইনার জট কমাতে রেললাইন সংস্কারের পাশাপাশি বগি বাড়ানোর সুজনের প্রস্তাব মন্ত্রী গুরুত্ব সহকারে আমলে নেন। বিজ্ঞপ্তি