শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যরিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। তিনি ২০০৫ সালে চট্টগ্রামের মানুষের আকাঙ্খা পূরণে উত্থাপিত ২৮ দফা দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে এসব বাস্তবায়নে অঙ্গীকার প্রদান করেছিলেন। আজ একে একে তার প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকার বাস্তবায়ন হতে চলেছে। এটা সমগ্র জাতির জন্য একটি সৌভাগ্যের বিষয়।
তিনি গতকাল কাজির দেউড়ি ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু ট্যানেল উদ্বোধন উপলক্ষে শেখ হাসিনার জনসভা সফলে মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় একথা বলেন।
সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ২৮ অক্টোবর দেশ ও জাতির গর্ব করার মত একটি মর্যাদার দিন। এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ট্যানেল উদ্বোধন করে বাঙালির ললাটে আরেকটি বড় বিজয় তিলক উড়িয়ে দেবেন। বাঙালির এই স্বর্ণালী স্বপ্ন ও প্রত্যাশার প্রাপ্তিযোগ বিএনপি-জামায়াত এবং স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির কিছুতেই সহ্য হচ্ছে না। তাই তারা ওইদিন পরিকল্পিতভাবে অরাজকতা-নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে ঢাকাকে অচল করে কুমতলবে কথিত মহাসমাবেশ ডেকেছে। এটা কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, দেশি-বিদেশি বাংলাদেশ ও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির নির্বাচন বানচাল এবং জনগণের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ধ্বংসাত্মক মহড়া।
তিনি গতকাল কাজির দেউড়ি ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু ট্যানেল উদ্বোধন উপলক্ষে শেখ হাসিনার জনসভা সফলে মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ট্যানেল শুধু আওয়ামী লীগ বা সরকারের জন্য নয়, এটার উপকাররভাগী হবে দলমত নির্বিশেষে আপামর জনতা। তাই এই ট্যানেল সমগ্র জাতি ও জনগণের সম্পদ। এই ট্যানেল উদ্বোধনের দিন বিএনপি- জামাতের কর্মসূচি প্রমাণ করে যে, তারা দেশ ও জনগণ বিরোধী একটি অপশক্তি। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু ট্যানেলের দক্ষিণ প্রান্তে অনুষ্ঠেয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করা হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তৃণমূল স্তরের বর্ধিত সভায় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নে সকল দায়িত্ব নিজের কাধে তুলে নিয়ে ২০০৮ সালে চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সভায় যে অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছিলেন কর্ণফূলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু ট্যানেল নির্মাণ তার মধ্যে অন্যতম। আজ শুধু চট্টগ্রামবাসী নয় সমগ্র বাংলাদেশবাসীর ভাগ্য পরিবর্তনের আরেকটি মাইলফলক হিসেবে এই ট্যানেল স্বীকৃতি ও মর্যাদা পাবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরী, সাংসদ মহিউদ্দিন বাচ্চু, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী, গাজী হাফিজুর রহমান লিকু ও মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন। বিজ্ঞপ্তি