নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আক্তারের পরিকল্পনা ও নির্দেশনার আলোকে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা এলাকার ১৪৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া নিশ্চিতে চালু করা হয়েছে অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম। কার্যক্রম সুচারুভাবে পরিচালনা নিশ্চিত করতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গঠন করেছেন একটি কমিটি।
উল্লি¬খিত কমিটি প্রতিদিন ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে ক্লাস্টার ভিত্তিক শিক্ষকদের সঙ্গে সমন্বয় সভা করে প্রতিটি বিদ্যালয়ের অনলাইন ক্লাস সচল রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন।
চকরিয়া উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো.আনোয়ারুল কাদের বলেন, এখন বাড়িতে বসে বিভিন্ন বিষয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। দিনদিন এই অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ বাড়ছে।
চকরিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আক্তার বলেন, উপজেলায় প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ৬২১৬৮ জন। এসব প্রতিষ্ঠানে ৬২১৬৮ শিক্ষার্থীর বিপরীতে পাঠদান করেন ৯৯০ জন শিক্ষক। আমরা বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৪২৮জন শিক্ষককে প্রতিটি বিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাসের কার্যক্রমে যুক্ত করেছি।
তিনি বলেন, আইসিটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকরা তাদের গ্রুপে এবং উপজেলা শিক্ষা অফিস, চকরিয়া ফেইসবুক পেইজে বিদ্যালয়ে পাঠদানের জন্য নতুন নতুন তৈরিকৃত কনটেন্ট ও ভিডিও আপলোড করবেন।
বড়ভেওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলসাদ আঞ্জুমান রুমা বলেন, ‘শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বের জায়গা থেকেই অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম চালু করেছি। ভালো সাড়া পাচ্ছি। তবে গ্রামীণ এলাকায় হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট সমস্যা আছে।
চকরিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা উম্মে মোখলেছা খানম রেশমা বলেন, এখন বিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষক অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হয়েছেন। ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে এভাবে ক্লাস চালু করায় অভিভাবকরাও খুশি।
এই উদ্যোগের প্রশংসা করে কাজিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির (এসএমসি) সভাপতি সাংবাদিক এম জিয়াবুল হক বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে উপজেলার ১৪৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ আছে সাড়ে চারমাস ধরে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় ভুগছেন অভিভাবকরা। শিক্ষাখাতের এমন দৈন্যদশা থেকে উত্তরণে চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আক্তারের উদ্যোগ সত্যিই অভিভাবক মহলে প্রশংসিত হয়েছে।