নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া:
চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়সে মো. নুরুল আলম (৭৪) নামে এক আওয়ামী লীগের এক প্রবীণ নেতাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। কতিপয় মহলের ইন্ধনে স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আনছুর আলমের নেতৃত্বে দুর্বৃত্তদল ঘটনার সময় ওই বৃদ্ধকে বিবস্ত্র করে মারধর করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও ক্লিপ থেকে ঘটনাটি মূহূর্তে সবার নজরে আসে।
ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে, ভিকটিমকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের সময় অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আনছুর গালি দিতে দিতে টেনে ছিড়ে ফেলছে বৃদ্ধা নুরুল আলমের পরনের লুঙ্গি, গেঞ্জি। আর কয়েকজন যুবক তা মোবাইলের ক্যামরায় ভিডিও ধারণ করছে। তবে ওইসময় উল্টো হিতে বিপরীত হবে এই আশঙ্কায় কেউ এগিয়ে আসেনি ওই বৃদ্ধকে বাঁচাতে।
গত মাসের ২৪ মে উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ছয়কুড়িটিক্কা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ভিকটিম নুরুল আলম ছয়কুড়িটিক্কা পাড়া গ্রামের মৃত আলী মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রবীণ সদস্য।
ঘটনাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আনছুর আলমের নেতৃত্বে একদল যুবক। এ ঘটনার পর গত ৩১ মে রাতে বৃদ্ধ নুরুল আলমের ছেলে আশরাফ হোসাইন বাদি হয়ে চকরিয়া থানা একটি এজাহার দায়ের করেন।
মামলার বাদি আশরাফ হোসাইন এজাহারে দাবি করেন, ঘটনার সময় আমার বাবার ব্যবহৃত একটি মোবাইল সেট ও পকেটে থাকা নগদ সাড়ে সাত হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয়। ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম জিকু বলেন, তুচ্ছ একটি ঘটনার জের ধরে এমন অমানবিক আচরণ করা হয়েছে নুরুল আলমের সাথে। সবাই ওনাকে খুব সম্মান করে। এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজী মো.মতিউল ইসলাম বলেন, বিষয়টা আমি ফেসুবকে দেখেছি। যারা এই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করেছে মোটেও ভালো কাজ হয়নি। ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধেরও পরিবার-পরিজন রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ঘটনার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমি ওসিকে নির্দেশ দিয়েছি।