নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া »
চকরিয়ায় বৃষ্টিপাতের কারণে পানিতে তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ জমির রোপিত আমন ধান ও শরৎকালীন রকমারি সবজি ক্ষেত। এতে প্রান্তিক কৃষকদের আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গতকাল বুধবার সকাল থেকে চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় টানা ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এই রিপোর্ট তৈরিকালে গতকাল সন্ধ্যার দিকেও আকাশের অবিরাম বর্ষণ অব্যাহত থাকে।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি অফিসার (নিরীক্ষা) রাজীব দেব জানিয়েছেন, চলতি মৌসুমে চকরিয়া উপজেলার ১৯ হাজার ৫০০ হেক্টর (৪৮ হাজার ৭৫০ একর) জমিতে আমন ধান এবং ৮৭৬ হেক্টর (দুই হাজার ১৯০ একর) জমিতে শরৎকালীন রকমারি সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা।
মাঠপর্যায়ে নিয়োজিত কয়েকজন উপসহকারী কৃষি অফিসার জানিয়েছেন, উপজেলার বেশিরভাগ এলাকায় রোপিত আমন ধান গাছ পরিপক্ব হয়ে উঠছে। ধানের থোড়ও বের হচ্ছে।
একইভাবে জমিতে রোপিত শরৎকালীন রকমারি সবজি ইতোমধ্যে বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। এই অবস্থায় বৃষ্টিপাতের কারণে জমির বেশিরভাগ ফসল পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। এতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
চকরিয়া পৌরসভার আমানচর এলাকায় কৃষক মো. মানিক উদ্দিন বলেন, সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে আমার পুরো সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, ৪০ শতক জমিতে বেগুন চারা রোপণ করেছি। ফুল এসেছে। বৃষ্টির পানি দ্রুত সরে না গেলে গাছ পচে যাবে। এতে আমার খরচের পুরো ৩৫ হাজার টাকা লোকসান হবে।
উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলার কৃষক খায়রল বশর, জাগের আহমদ ও বজল আহমদ বলেন, ভারী বৃষ্টির কারণে আমন মৌসুমের ধানক্ষেত পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। সবেমাত্র ধানগাছে থোড় আসা শুরু হযেছে। এ অবস্থায় পানিতে তলিয়ে গেলে ব্যাপক ক্ষতি হবে।
জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম নাসিম হোসেন বলেন, বৃষ্টির পানি দ্রুত সরে গেলে ধানক্ষেতে ক্ষতির সম্ভাবনা কম। তবে শরৎকালীন সবজিক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।