সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
সময়ের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার বিরাট কোহলি। তাকে ছাড়া ভারত দল কল্পনাই করা যায় না। অথচ সেই তিনিই কিনা একসময় স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছিলেন, শুধুমাত্র ঘুষের টাকা দিতে পারেননি তাই।
ঘটনাটি বেশ আগের। বয়সভিত্তিক দলে একবার কোহলিকে ডাকা হয়েছিল। পরে ম্যাচের আগেই স্কোয়াড থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়। কারণ তার বাবার কাছে ঘুষ চাওয়া হয়েছিল। সেটা না দেওয়ায় দল থেকে বাদ পড়েন এ ব্যাটার।
দিল্লি অনূর্ধ্ব-১৪ দলে খেলার সময় কোহলির সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটে। তখন ডানহাতি এ ব্যাটারের বাবা প্রেম নাথ কোহলি ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছিলেন, যোগ্যতা থাকলে কোহলি খেলতে পারবে, না থাকলে পারবে না। এক পডকাস্টে এমনটা জানিয়েছেন কোহলি নিজেই।
রঞ্জি ট্রফির জন্য ৮০ জনের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করে দিল্লি ক্রিকেট সংস্থা। সেই তালিকায় ছিলেন কোহলি। ভারত জাতীয় দলের উইকেট কিপার ব্যাটার রিশাভ পান্ট ছিলেন।
সেই তালিকায় থাকার প্রসঙ্গ টেনে এনে কোহলি বলেন, ‘জীবনে প্রথমবার নির্বাচিত হয়েছিলাম দিল্লি অনূর্ধ্ব-১৪ দলে। কিন্তু বেলা একটার সময় আমার নাম বাদ হয়ে যায়। সকলেই জানেন, রাজ্য স্তরের ক্রিকেটে কী চলে! ফলে কিছুই বলার ছিল না।’
হঠাৎ করে কেন কোহলিকে বাদ দেওয়া হয়েছিল সেটিও জানিয়েছেন তিনি। সেই সাথে তার বাবার বলা কথা এখনো মনে গেথে রেখেছেন ডাঁনহাতি এ ব্যাটার।
কোহলি বলেন, ‘খুব সম্ভবত দেনা-পাওনার ভিত্তিতে সেই ক্রিকেটার আমার চেয়ে ভাল বলে বিবেচিত হয়েছিল সেই মুহূর্তে। সেই সময় কেউ একজন এসে বাবাকে প্রস্তাব দিয়ে যান, টাকা দিলে হয়তো আমি দলে জায়গা পেয়েও যেতে পারি।
সব শুনে বাবা বলে দেন, দলে জায়গা পাওয়ার জন্য একটি টাকাও দেবেন না। যদি ছেলে নিজের যোগ্যতায় খেলতে পারে তো খেলবে। না পারলে পারবে না। সেই কথাটা মনে গেঁথে গিয়েছিল।’
‘আমিও সেই পরামর্শ মেনে চলেছি। তার সঙ্গে আপস করিনি। নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়েই সমস্ত ধরনের প্রতিকূলতা অতিক্রম করে এই জায়গায় এসে পৌঁছেছি।’