সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার টেস্ট সিরিজে হামলার হুমকি দিয়েছিল হিন্দু মহাসভা। কানপুর টেস্ট বানচাল করতে মিছিল ও আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছিল একদল কট্টরপন্থী। যদিও শেষ পর্যন্ত তারা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি নিরাপত্তা রক্ষীবাহিনাীর কঠোর অবস্থানের কারণে। এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ ঘিরে আরো কঠোর অবস্থানের জানান দিচ্ছে প্রশাসন। আগামীকাল রোববার (৬ অক্টোবর) গোয়ালিয়রে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ঘিরে বিক্ষোভ ও সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে জেলা প্রশাসন। আগামী ৭ অক্টোবর এই আদেশ বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানিয়েছেন, কোনো ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্যের আদানপ্রদান এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়, এমন উস্কানিমূলক পোস্ট-লেখালেখি করা যাবে না। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি হবে গোয়ালিয়রের শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশ-ভারতের এই ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম হিসেবে অভিষেক হবে মধ্য প্রদেশের এই মাঠটির। এর আগে ৩০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এই মাঠের ম্যাচ বাতিলের দাবি জানিয়েছিল হিন্দু মহাসভার ‘গোয়ালিয়র বন্ধ’ ও অন্যান্য সংগঠন। সে দাবির প্রেক্ষিতেই ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা জোরদার করেছে মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমপিসিএ) ও স্থানীয় প্রশাসন। দুই দলের ক্রিকেটারদেরও হোটেলের বাইরে যেতেও নিষেধ করা হয়েছে। এদিকে ভারতের সাথে দুই টেস্ট সিরিজে পারফরম্যান্স মোটেই ভালো হয়নি টাইগারদের। দুই টেস্টের একটি ইনিংসেও তারা ৩০০ রান করতে পারেনি । চেন্নাই আর কানপুরে ৪ ইনিংসের একবারও ২৩৫-এর ঘর (সর্বোচ্চ ২৩৪) অতিক্রম করতে পারেনি শান্তর দল। ঘুরে ফিরে দুই টেস্টের স্কোরলাইন ছিল প্রায় একই রকম। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৪৯, আর পরের বার ২৩৪। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৩৩ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৬। খুব স্বাভাবিকভাবে ফলও হয়েছে চরম খারাপ। প্রথম টেস্টে ২৮০ রানের বিরাট পরাজয়ের পর দ্বিতীয় টেস্টেও ভারতীয়রা জিতেছে ৭ উইকেটে। টেস্ট সিরিজে এমন খারাপ খেলার পর টিম বাংলাদেশ প্রস্তুত হচ্ছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের খেলার জন্য। আগামীকাল ৬ অক্টোবর গোয়ালিয়রে তিন ম্যাচের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। কানপুরে টেস্ট সিরিজ শেষ করার পর শান্তর দল এখন গোয়ালিয়রে। গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরে তিন ঘণ্টা অনুশীলন করেছেন তানজিদ তামিম, পারভেজ ইমন, তাওহিদ হৃদয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন দাস, মেহেদী মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজ ও শরিফুলরা। কানপুরে বৃষ্টি ভুগিয়েছে। বৃষ্টিতে শেষ টেস্টের আড়াই দিনের বেশি সময় ধুয়ে গেছে, কিন্তু গোয়ালিয়রে বৃষ্টির ‘ব’ ও নেই। কড়া রোদ। প্রচণ্ড গরম। গোয়ালিয়রে আবহাওয়া একদম শুষ্ক। তীব্র গরম, একদম দুবাইয়ের মতো আবহাওয়া। এরমধ্যেই তিন ঘণ্টা নিবিড় অনুশীলন করেছে ক্রিকেটাররা। সাধারণত প্র্যাকটিসের ক্রিকেটারদের কেউ কেউ মিডিয়ার সাথে কথা বলেন। তবে গরমের কারণে আজ কেউ কথা বলেননি।