সুপ্রভাত ডেস্ক »
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির পদযাত্রা ও সভাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় হামলা, সংঘর্ষের ঘটনায় কারফিউ চলছে। এর মধ্যে অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।
বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে তাদের আটকের পর গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান।
তবে এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে থমথমে পরিস্থিতি দেখা গেছে গোপালগঞ্জজুড়ে। মূল সড়কগুলোকে সকাল থেকে চোখে পড়েনি অভ্যন্তরীণ রুটের যানবাহন, বন্ধ ছিল দোকানপাট-বাজার। তবে বিভিন্ন অলিগলির সড়কের মানুষের চলাচল দেখা গেছে। কিছু এলাকায় খুলেছে খাবারের দোকান-হোটেল।
বৃহস্পতিবার সকালে শহরের বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে দেখা গেছে, এখনো পড়ে আছে ইটপাটকেল, বাঁশসহ যান চলাচলে নানা প্রতিবন্ধক সামগ্রী। সড়কের পাশে থাকা গাছ কেটে রাস্তার ওপর ফেলেও যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করতে দেখা গেছে বেশ কিছু স্থানে। জরুরি প্রয়োজনে যারা ঘর ছেড়ে বেরিয়েছেন তাদের চোখে মুখে দেখা গেছে আতঙ্কের ছাপ।
এর আগে বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হওয়ার খবর এসেছে। বুধবার সকালে এনসিপি নেতারা গাড়িবহর নিয়ে শহরে ঢোকার আগেই পুলিশের গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ঘটনার সূত্রপাত হয়।
পরে ইউএনওর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতির মধ্যে বেলা দেড়টার দিকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায়।
এক পর্যায়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। পরে তারা সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে করে পুলিশ সুপার কার্যালয় ছাড়েন। দুপুরে জেলা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় সন্ধ্যায় কারফিউ জারির ঘোষণা আসে।