সুপ্রভাত ডেস্ক »
গাজায় গণহত্যার মত অপরাধ ঠেকাতে এবং বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের সহায়তা দিতে ইসরায়েলকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস-আইসিজে।
তবে গাজায় ইসরালের সামরিক অভিযান বন্ধের যে আদেশ দক্ষিণ আফ্রিকা চেয়েছিল, তাতে সায় দেয়নি জাতিসংঘের এ সর্বোচ্চ আদালত। খবর বিডিনিউজের।
এ মাসের শুরুর দিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ নিয়ে আইসিজেতে আসে দক্ষিণ আফ্রিকা। জরুরি ভিত্তিতে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধের আদেশ চাওয়া হয় সেখানে, যে অভিযানে ২৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা নিয়ন্ত্রকারী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলে আকস্মিকভাবে ঢুকে হামলা চালিয়ে ১২০০ মানুষকে হত্যা এবং অন্তত ২৫০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। ওইদিন থেকেই গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল, যা এখনো চলছে।
এ অভিযানে ইসরায়েল রাষ্ট্রীয়ভাবে গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলায়।
গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসা ইসরায়েল এ মামলা খারিজ করে দেওয়ার আবেদন জানালেও তাতে সায় দেয়নি আইসিজে।
এ আদালতের প্রধান বিচারক বলেছেন, জেনোসাইড কনভেনশন অনুযায়ী, যে কোনো রাষ্ট্র অপর রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আইসিজেতে আসতে পারে। গাজা পরিস্থিতি নিয়ে এ আদালতে মামলা করার আইনি এখতিয়ার দক্ষিণ আফ্রিকার রয়েছে।
জাতিসংঘের এ সর্বোচ্চ আদালত সিদ্ধান্ত দিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের ‘গণহত্যা’ চালানোর যে অভিযোগ দক্ষিণ আফ্রিকা এনেছে, তা আমলে নেওয়ার বিচারিক এখতিয়ারও ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের রয়েছে।
আইসিজের যে ১৭ জন বিচারকের প্যানেল শুক্রবার এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে, তাদের মধ্যে ১৫ জন স্থায়ী বিচারক। এর বাইরে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইসরায়েলের একজন করে বিচারক রয়েছেন।
আইসিজে রায় মানতে ইসরায়েলকে বাধ্য করতে না পারলেও রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি গুরুত্ব বহন করে।
আন্তর্জাতিক