সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
অবশেষে জয়ের ইতিহাসটা রচনা করেই ফেলল পাকিস্তান। শ্রীলংকাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে গল টেস্ট জিতে নিল বাবর আজমের দল । জয়ের জন্য আর মাত্র ১১ রান দরকার পাকিস্তানের। এর মধ্যেই গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বেরসিক বৃষ্টির হানা। শফিক ১৫৪ রানে ও নওয়াজ খেলছিলেন ১২ রানে। খবর ডেইলি-বাংলাদেশ’র।
পাকিস্তানের এই জয়ের কৃতিত্বের একটা বড় অংশ ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিকের। শেষ ইনিংসে তিনি পাকিস্তানকে এনে দিয়েছেন দারুণ একটা শুরু। চতুর্থ-পঞ্চম দিনের টার্নিং উইকেটে দাঁত কামড়ে লড়ে গেছেন শেষ পর্যন্ত। খেলেছেন ১৬০ রানের ক্যারিয়ারসেরা এক ইনিংস। শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্টে জয়ের জন্য শেষ দিন মাত্র ১২০ রান লাগে টিম পাকিস্তানের। আব্দুল্লাহ শফিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের জুটি পাকিস্তানের স্বস্তি আরও বাড়িয়ে দেয়।
কিন্তু প্রথম সেশনের মাঝামাঝি ও শেষের দিকে দুটি উইকেট নিয়ে শ্রীলংকা আশা জাগায়। আর লাঞ্চের পর আরও একটি উইকেট নিলে নাটক জমে উঠে শেষ মুহূর্তে। রিজওয়ান ও শফিকের জুটি ৭১ রানের বেশি হতে দেননি প্রভাত জয়াসুরিয়া। ৭৪ বলে ৪০ রান করে এলবিডব্লিউ হন রিজওয়ান, রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। আর শেষ দিকে আগা সালমানও (১২) লঙ্কান স্পিনারের কাছে উইকেট হারান নিরোশান ডিকবেলার গ্লাভসবন্দি হয়ে।
৫ উইকেটে ২৯৮ রান করে লাঞ্চে যায় পাকিস্তান। জয় থেকে ৪৪ রান দূরে ছিল। শ্রীলংকার প্রয়োজন ৫ উইকেট। কিন্তু শফিক ১৩৯ রানে অপরাজিত থেকে স্বাগতিকদের পথের শক্ত কাঁটা হয়ে ছিলেন।
যদিও লাঞ্চের পর পঞ্চম বলেই হাসান আলীকে (৫) ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ফিরিয়ে ম্যাচে উত্তেজনা বাড়ান। ৩০৩ রানে নেই পাকিস্তানের ৬ উইকেট।
ধনঞ্জয়া ও প্রভাত দুই প্রান্ত থেকে দুর্দান্ত টার্নে বল করে যাচ্ছেন। ১৫১ রানে জীবন পান শফিক। ধনঞ্জয়ার বলে তার উঁচুতে নেওয়া শট সময় নিয়েও ধরতে পারেননি কাসুন রাজিথা, হাত ফসকে যায় বল। শফিক তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেই দলকে এ জয় উপহার দেন।