বিবিসি বাংলা :
বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১৫৩২ জন। এনিয়ে মোট আক্রান্ত হলো ৩৩৬১০ জন।
এই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৮ জন। এনিয়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৪৮০ জন হলো।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৯১৮৪ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং মোট ৮৯০৮ টি নমুনা পরীক্ষা করে আক্রান্তের এই সংখ্যা পাওয়া যায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, গত চব্বিশ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪১৫ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৬৯০১ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০.৫৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৪৩ শতাংশ।
চব্বিশ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রয়েছেন ২৫৩ জন। আর ছাড় পেয়েছেন ৯৪ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ৪৪৪৬ জন।
ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে বেশ কিছু স্বাস্থ্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে,
•সব ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে
•কমপক্ষে ৩ ফুট সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের জামাতে অংশ নিতে হবে
•ঈদের কোলাকুলি থেকে বিরত থাকতে হবে
•ঈদের আনন্দ উচ্ছলতার কারণে শিশুরা যাতে ঝুঁকির মুখে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে
•অবশ্যই শিশুসহ সবাইকে নিয়মিত মুখে মাস্ক পড়তে হবে
•বাইরে থেকে ঘরে ফিরে সাবান-পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে
•বাইরের খোলা খাবার খাওয়া যাবে না
•নিজের হাতের প্রতি সজাগ থাকতে হবে। অযথা নাক-মুখ-চোখে হাত দেয়া যাবে না। শিশুদের এ বিষয়ে সতর্ক করতে হবে।
•যারা এরইমধ্যে আক্রান্ত তাদেরকে আইসোলেশনের নিয়ম পালন করতে হবে।
•পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। পানি ও তরল খাবার বেশি খেতে হবে।
•ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন লেবু, কমলা, মাল্টা, পেয়ারা ও টাটকা শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে।
•জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, মাংস, কুমড়ো ও লাউয়ের বীজ, মাশরুম, রসুন, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার বেশি খেতে হবে।
•হালকা ব্যায়াম করতে হবে।