সুপ্রভাত ডেস্ক »
সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে এবং নিজেও সতর্ক থাকবেন উল্লেখ্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। অন্তর্ভুক্তিকালীন সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসরেরা দেশে–বিদেশে ও প্রশাসনে এখনো সক্রিয়। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে এ কথাগুলো বলেন তারেক রহমান। ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীতে র্যালি করে বিএনপি। ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার থাকায় শুক্রবার ছুটির দিনে র্যালি করেছে বিএনপি।র্যালির আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন তারেক রহমান।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র ছাড়া অন্য কিছু চলবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর শেখ হাসিনা তার দোসর বাহিনী দিয়ে এই দেশকে লুটপাট করে খেয়েছে। আমরা ১৭ বছর তার বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। সর্বশেষ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে হাসিনা দেশ থেকে পালিয়েছে। কিন্তু তার দোসররা এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছে। আমরা যে কোনো অপশক্তিকে উৎখাত করতে প্রস্তুত আছি। এজন্য আমরা সব সময় ঐক্যবদ্ধ আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহান বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আজকের এই র্যালি। র্যালিতে আমরা এটাই প্রমাণ করব যে, বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি হচ্ছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। ৭ নভেম্বর বিপ্লবী গণসংহতি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিল বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক জিয়াউর রহমান।
মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা জানেন, ৭ নভেম্বরের আগে খালেদ মোশাররফ এক অভ্যুত্থান করেছিল। এরপরই জিয়াউর রহমান দেশের সার্বভৌমত্বকে ফিরিয়ে আনতে ৭ নভেম্বর সিপাহি জনতাকে নিয়ে এই আন্দোলন করে দেশকে মুক্ত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, যেভাবে ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের হাল ধরেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, তারপর হাল ধরেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। আর এখন হাল ধরেছেন তারেক রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ও জাতীয় নেতা, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। র্যালি শুরুর আগে কোরআন তেলাওয়াত, দোয়া ও মোনাজাত করেন ওলামা দলের আহ্বায়ক কাজী মো. সেলিম রেজা।
র্যালি উদ্বোধনের আগে থেকেই বেলা ১২টার মধ্যে নেতাকর্মী ও অনুসারীরা নয়া পল্টনে জড়ো হতে থাকেন। মিছিলে-মিছিলে যোগ হয় বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। র্যালিতে আকর্ষণ বাড়াতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্রূপাত্মক প্রদর্শনী করা হয়। একটি খাঁচার মধ্যে একজন নারী গোলাপি শাড়ি, চোখে চশমা পরে এই মিমিক্রি প্রদর্শন করেন।