চশমা খাল
নিজস্ব প্রতিবেদক »
শীত, আবর্জনার স্তূপ, দুর্গন্ধ ও মশা নিখোঁজ শিশু কামালের দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযানের মূল প্রতিবন্ধকতা। গতকাল বুধবার সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক মো. আনিসুর রহমান।
প্রায় ২০ ঘণ্টা অভিযানের পরও নিখোঁজ রয়েছে এই শিশু।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ‘নগরীর ২ নম্বর গেট চিটাগং শপিং কমপ্লেক্সের বিপরীতে ষোলশহর ভূমি অফিস এলাকায় চশমা খালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে। একই সঙ্গে চসিক পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ময়লা অপসারণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ময়লা সরিয়ে ডুবুরি দল ড্রেনের ভেতরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। তারা বাইরে বের হয়ে ভেতরের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, প্রচুর পরিমাণে আবর্জনা, দুর্গন্ধ ও মশা রয়েছে। ঠাণ্ডার কারণে হাত-পা জমে যাচ্ছে।’
এদিকে সালেহ আহমেদ নিখোঁজের পর ফায়ার সার্ভিস থেকে দেওয়া পরামর্শ বেরিয়ার দেওয়ার বিষয়টি আমলে নেননি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।
উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় বায়েজিদ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. তানভীর আহমেদ সুপ্রভাতকে বলেন, ‘বুধবার সকাল থেকে আবারো উদ্ধার কাজ শুরু করেছি। তিনটি ইউনিট রোস্টারিং করে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছে। শীতকাল হওয়াতে ডুবুরি দলের বেশ কষ্ট পোহাতে হয়েছে। তাছাড়া ড্রেনের ভেতরে নানা প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে। নিখোঁজ শিশু কামলকে না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে।’
এদিকে ষোলশহর জংশন এলাকার ভাসমান বাসিন্দারা কামালকে শেষবারের মত দেখার অপেক্ষায় রয়েছে। শুধু তারাই নয় কামালের বন্ধুরা পাহারা দিচ্ছেন নিখোঁজ স্থানে। এসময় বন্ধু বাদশা বলে, ‘সে জংশন থেকে বের হওয়ার সময় আমার সাথে শেষ দেখা ও কথা হয়। সে খুব ভাল সাঁতার জানতো। কিন্তু কেমনে কি হইলো বুঝতে পারছি না।’
উপ-পরিচালক মো. আনিসুর রহমান সুপ্রভাতকে বলেন, ‘ড্রেনের ভেতরে প্রচুর আবর্জনা, দুর্গন্ধ ও মশা। ড্রেনের ভেতর স্রোতও রয়েছে। এতে ডুবুরি দলের জন্য রিস্ক হয়ে গেছে। নিখোঁজ হওয়ার পর পর যদি খবর পাওয়া যেত তাহলে হয়তো এত সময় লাগতো না। নিখোঁজ শিশুকে উদ্ধার না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে।’
উল্লেখ্য, সোমবার খেলনা কুড়াতে গিয়ে চশমা খালে নিখোঁজ হয় শিশু কামাল উদ্দীন।