সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ২৭তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল কুিমল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও খুলনা টাইগার্স। এ ম্যাচে জিতলে খুলনার প্লে-অফ অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যেত। কিন্তু খুলনার কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছে দলটি।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৮ রান করেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। জবাবে ১২৩ রানে গুটিয়ে গেছে খুলনা। ১৯.৩ ওভারে অল আউট হওয়া টাইগার্সদের হার ৬৫ রানে। রান তাড়া করতে নেমে শুধুমাত্র প্রথম ওভারটাই খুলনার পক্ষে ছিল। সেই ওভারে ১৬ রান আনেন ফ্লেচার। ইঙ্গিত দেন দারুণ সূচনার। কিন্তু সেই শেষ। এরপর শুধু আসা যাওয়ার মাঝে থেকেছেন খুলনার ব্যাটাররা। রনি তালুকদার, মুশফিকুর রহিম ও রুয়েল মিয়ার কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেছেন থিসারা পেরেরা। তার এই ইনিংস শুধু হারের ব্যবধানটাই কমিয়েছে। বাকিদের মধ্যে সৌম্য ২২, ইয়াসির ১৮, ফ্লেচার ১৬ ও মাহেদী ১১ রান করেন।
কুমিল্লার হয়ে একাই ৪ উইকেট নেন আবু হায়দার রনি। এছাড়া নাহিদুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও মঈন আলী প্রত্যেকেই দুটি করে উইকেট শিকার করেন। খবর ডেইলি বাংলাদেশ ডটকম’র
এর আগে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন খুলনার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। অবশ্য টস জিতলে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিতেন, এমনটাই জানান কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। এদিন ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়। ১৫ বলে মাত্র ১১ রান করেন তিনি। তবে অন্যপ্রান্তে আক্রমণাত্মক ছিলেন লিটন দাস। মাত্র ১৭ বলে ৪১ রান করেন তিনি। হাঁকান ৩টি ছক্কা। এরপর কুমিল্লা অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ৫ রান করে আউট হন। ফাফ ডু প্লেসি শুরুতে ধীরে খেললেও পরে আক্রমণের ধার বাড়ান। তিনি করেন ৩৬ বলে ৩৮ রান। তবে ব্যাট হাতে তান্ডবে সবাইকে ছাড়িয়ে যান মঈন। মাত্র ২৩ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন তিনি। এর মাঝে ছিল ৭টি ছক্কার মার। ব্যক্তিগত ৬৩ রানের পর প্রথম চার হাঁকান এই ব্যাটার!
শেষ পর্যন্ত ৩৫ বলে ৭৫ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে আউট হন মঈন। তিনি মোট নয়টি ছক্কা ও একটি চার হাঁকান। আর কোনো ব্যাটারই বলার মতো ইনিংস খেলতে পারেননি। খুলনার হয়ে থিসারা পেরেরা দুটি এবং খালেদ আহমেদ, নাবিল সামাদ, মাহেদী হাসান ও সৌম্য সরকার একটি করে উইকেট নেন।