নিজস্ব প্রতিবেদক »
দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলোতে তারের জঞ্জাল। প্রতিটি খুঁটিতে দেখা যায় বিদ্যুতের তার ছাড়াও রয়েছে ইন্টারনেট ও ডিশের হাজার হাজার ক্যাবল। নিচে ব্যবসা-বাণিজ্য, শত শত মানুষের যাতায়াত। অনেকগুলোর তার হাতের নাগালেই। কোনটি মাত্র ১২-১৫ ফুট উপরেই ঝুলছে। এসব ক্যাবলে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে ঘটে যেতে পারে বড় দুর্ঘটনা।
ট্রাকে মালামাল উঠাতে ব্যস্ত খাতুনগঞ্জে শ্রমিক আলী আকবর জানায়, বৃষ্টি হলেই কোন না কোন খুঁটিতে শর্টসার্কিট হয়। মাস দুই-এক আগেও একদিনে দুইবার শর্টসার্কিট হয়েছে। বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন এসে ঠিক করে দিয়ে যায়। কিন্তু সংস্কার হয় না।
চাকতাই খাতুনগঞ্জ সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দীন বলেন, অনেকদিন বিদ্যুতের তারের সংস্কার নেই। দুই বছর আগে একটা ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। টাকা তুলে ঠিক করিয়েছি। বড় কোনো দুর্ঘটনা হলে কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হবে।
খাতুনগঞ্জকে ভিআইপি অঞ্চল ঘোষণা করে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানিয়ে মহিউদ্দীন আরো বলেন, বিদ্যুতের তারের জঞ্জাল তো আছেই। তাছাড়া এখানে লোডশেডিং বেশি হয়। লোডশেডিং এর কারণে ব্যবসা বাণিজ্য স্থবির হয়ে যায়। ত্রিশ মিনিট বিদ্যুৎ না থাকলে কোটি টাকা ক্ষতি হতে পারে।
এসব বিষয়ে কোথাও অভিযোগ বা আবেদন করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ অফিসে চিঠি দিবো। সভাপতির সাথে কথা বলে এই মাসে চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে আবেদন জানাবো।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন আগ্রাবাদের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, খাতুনগঞ্জ ঝুঁকি এলাকা। অনেকগুলো বিল্ডিং-এ একটিমাত্র সিঁড়ি। বিকল্প কোনো সিঁড়ি নেই। তাছাড়া রাস্তাও খুব ছোট। বড় গাড়িগুলোর জন্য ত্রিশফুট রাস্তা লাগে। এই গাড়িগুলো প্রবেশের মত জায়গা ওখানে নেই। আগুন লাগলে দ্রুত নিভানোর মতো জায়গা খাতুনগঞ্জ নয়। বিল্ডিংগুলোতে অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম নেই বললেই চলে।
বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ পাথরঘাটা শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম সুপ্রভাতকে বলেন, খাতুনগঞ্জে সংস্কারের কাজ করা যায় না। খুঁটি বসাতে দেয় না। ট্রান্সফরমার বসাতে দেয় না। ভবনের মালিকদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়। তবুও অনেক চেষ্টা করে গত এক বছরে অনেক সংস্কার করেছি। ব্যবসায়ীদের ও মালিকদের সহযোগিতা পেলে সংস্কার কাজ সহজ হয়।
এ মুহূর্তের সংবাদ