সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
কোপা আমেরিকা জয়ের পর থেকে আর্জেন্টিনা যেন দেখা দিয়েছে ভিন্ন এক রূপে। দুর্দান্ত ফুটবল খেলে প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করছে তারা। ফিরে যাচ্ছে নিজেদের ছোট ছোট পাসের পুরোনো ছন্দে। পেরুর বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে আরও একবার দেখা মিলল তেমন দৃশ্য।
অবশ্য তাদের আক্রমণগুলো ভেস্তে গেছে ডি বক্সের ভেতরে এসে। ম্যাচটি আর্জেন্টিনা জিতেছে কেবল ১-০ গোলে। প্রথমার্ধে একমাত্র গোলটি করেছেন লাওতারো মার্টিনেজ। ম্যাচের ৬৮ শতাংশ সময়ই বল নিজেদের পায়ে রেখেছেন লিওনেল স্ক্যালোনি শিষ্যরা।
যদিও এই জয়ের পরও একটা আক্ষেপ থাকতেই পারে আলবিসেলেস্তে সমর্থকদের। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পেরুর বিপক্ষে ছয় ম্যাচ খেলে কখনো গোলের দেখা পাননি লিওনেল মেসি। পেলেন না এবারও। দলটির বিপক্ষে তার একমাত্র গোল ২০০৭ কোপা আমেরিকার ম্যাচে।
আগের ম্যাচে উরুগুয়েকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া আর্জেন্টিনা এদিনও শুরু থেকে চেপে ধরে প্রতিপক্ষকে। একের পর এক আক্রমণে ব্যস্ত হয়ে পড়ে পেরুর রক্ষণ। ৯ম মিনিটেই বল জালেও জড়ায়। যদিও ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো অফসাইডে থেকে গোল করায় বাতিল হয় সেটি।
এরপর আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক মার্টিনেজের পরীক্ষা নেন জানলুকা লাপাদুলা। প্রথমে তার ফ্রি কিক শট থামান তিনি। এরপর ২১তম মিনিটে সময় মতো এগিয়ে এসে দলকে রক্ষা করেন অ্যাস্টন ভিলা গোলরক্ষক।
৪৩তম মিনিটে এসে গোলের অপেক্ষা শেষ হয় আর্জেন্টিনার। নাহুয়েল মলিনার ক্রস বাড়ান মার্টিনেজের উদ্দেশ্যে। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে কোনো সুযোগই দেননি তিনি। লাফিয়ে উঠে হেডে জাল খুঁজে নেন ইন্টার মিলান স্ট্রাইকার।
বিরতির পর ৬৫ মিনিটে ম্যাচে সমতা আনার দারুণ সুযোগ পায় পেরু। ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে দেওয়া জেফারসন ফারফানকে বক্সে ফাউল করেন গোলরক্ষক মার্টিনেজ। পেনাল্টি পেয়ে যায় পেরু। ইয়োশিমার ইয়োতুন পেনাল্টি মারেন ক্রসবারে।
এর চার মিনিট পর মেসির ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান পেরু গোলরক্ষক। কিছুক্ষণ পর জালে বল জড়িয়েছিলেন গুইদো রদ্রিগেজ। কিন্তু এর আগেই তিনি প্রতিপক্ষের ফুটবলারকে ফাউল করলে গোলটি বাতিল হয়। এক গোলের জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় আর্জেন্টিনাকে।
১১ ম্যাচে সাত জয় ও চার ড্রয়ে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে তালিকার দুইয়ে আছে আর্জেন্টিনা। ১২ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে ৯ নম্বরে আছে পেরু। তাদের বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন ক্ষীণ হচ্ছে ধীরে ধীরে।