চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে। এই অবৈধ সরকারের উন্নয়নের ফাঁকা বুলি সব ফাঁস হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ খাতে হাজার কোটি টাকা লুট করে সরকার বিদ্যুতের অনেক গল্প শুনিয়েছিল। এখন বিদ্যুৎ না দিতে পারায় সেই ফাঁকা বুলি মানুষ জেনে গেছে। তাই সরকার এখন ভয় দেখিয়ে গদি রক্ষা করতে চায়। কিন্তু মানুষকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। এবার এক দফা নিয়ে রাজপথে নেমেছে মানুষ। রাজপথ ফুঁসে উঠেছে। এক দফা দাবি হচ্ছে, এই সরকারের পতন। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি গতকাল সোমবার বিকালে নগরীর লালদিঘীর পাড়ে কোতোয়ালি থানা বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত প্রতিবাদ মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জ্বালানি তেল, গণপরিবহনের ভাড়া, নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিসহ অসহনীয় লোডশেডিং এবং ভোলায় গুলিতে নূরে আলম ও আবদুর রহমানকে হত্যার প্রতিবাদে এ মিছিলের আয়োজন করা হয়।
প্রতিবাদ মিছিলটি লালদিঘির পাড় থেকে শুরু হয়ে আন্দরকিল্লা মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
জ্বালানি তেলের পাশাপাশি গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে দাবি করে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, এ সরকারের সময় ফুরিয়ে এসেছে। তাদের পতন আসন্ন বুঝতে পেরে গণবিরোধী সরকার জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। শুধু জ্বালানি তেলের দাম নয়, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। এমনিতেই নিত্যপণ্যের সীমাহীন মূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবন বিপন্ন। তার ওপর আরেক দফা জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় মানুষের অবস্থা শোচনীয়।
এতে প্রধান বক্তা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের মানুষ আজ দিশেহারা। মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তেলের দাম বাড়িয়ে এই সরকার আবারও প্রমাণ করেছে, তারা গণবিরোধী। শুধু জনগণের টাকা লুট করতেই জ্বালানির দাম বাড়ানো হয়েছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম কমার পরও তেলের মূল্যবৃদ্ধি মানুষের রক্ত চুষে নেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়।
কোতোয়ালি থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের পরিচালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, হাজী মো. আলী, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি