সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
বিপিএল’র এবারের আসরে প্রথম ম্যাচে খুলনার কাছে পরাজয়ের প্রতিশোধ ঘরের মাঠে নিয়েছে চিটাগাং কিংস। সিলেটে টানা তিন জয়ের গতকাল চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম দিনে রাতের ম্যাচে অদম্য গ্রাহাম ক্লার্কের সেঞ্চুরিতে ২০০ রানের স্কোর গড়ে খুলনার বিরুদ্ধে ৪৫ রানের জয় পেয়েছে চট্টগ্রামের দলটি। এর সুবাদে তারা টানা চতুর্থ জয় পেয়ে নিজ অবস্থান সুদৃঢ় করেছে। নিজ মাঠ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সমর্থকদের অনুপ্রেরণা পেয়ে ২০১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করাতে সক্ষম হয় স্বাগতিকরা। ২০ ওভার শেষে খুলনা ৯ উইকেটে ১৫৫ রানে থামে। এই খুলনার কাছেই ৩৭ রানে হেরে এবারের বিপিএল শুরু করেছিল চিটাগং। ২০১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান অভিষিক্ত ডম সিবলি। তিন নেমে অধিনায়ক মিরাজ পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেন ৮ বলে ১৯ রানের ইনিংসে। কিন্তু বড় হতে থাকা এ ইনিংস থামে শরীফুল ইসলামের বাউন্সারে মিঠুনের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ওপেনার নাইম শেখও ব্যর্থ। আরাফাত সানির দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফেরেন এই বাঁহাতি। দুই ছক্কায় ভালো কিছুর ইংগিত দিলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি আফিফ হোসেন ধ্রুব। আলিস আল ইসলামের বলে তুলে মারতে গিয়ে খালেদের হাত ক্যাচ দেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। অভিষিক্ত মাহফুজুর রাব্বিরও আজ বাজে দিন গেছে। এক ওভার বল করে ২৭ রান দেয়ার পর ব্যাট হাতে করেছেন দুই রান। মোহাম্মদ নাওয়াজ আর দারউইশ রাসুলির ৪৩ রানের জুটিতে অবশ্য হারের ব্যবধানই কমিয়েছে কেবল। খুলনার নয় উইকেটের তিনটি নেন সানি। শরীফুল আর ওয়াসিম নেন দুটি করে উইকেট। এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চিটাগংয়ের। ১৮ রানে ফেরেন উসমান খান। তবে বাকি গল্পটা লিখেছেন গ্রাহাম ক্লার্ক। উইকেটে এসেছিলেন তৃতীয় ওভারে, মাঠ ছেড়েছেন ১৬-তম ওভারের শেষ বলে। তবে মাঝের এই সময়টায় এক হাতে তাণ্ডব চালিয়েছেন খুলনার বোলারদের ওপর। আবু হায়দার রনিকে চার মেরে যার শুরু। প্রথম ছক্কাটা মেরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজের বলে। উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলেছেন দুর্দান্ত একটা শট, বল উড়ে এসে আছড়ে পড়েছে সাইটস্ক্রিনের এপাশে। অভিষেকেই ক্লার্কের ঝড়ের মুখে পড়েছেন মাহফুজুর রাব্বি। ১১তম ওভারে বল করতে এসে হজম করেছেন চারটি ছক্কা। এর মধ্যে টানা তিনটি মেরেছেন ক্লার্ক। ডানহাতি এই ব্যাটার পরের ওভারে সালমান ইরশাদকেও মেরেছেন একটা করে চার ও ছয়। অবশ্য সেই সালমানের বলেই আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ১০১ রানে। সেঞ্চুরি ছোঁয়ার আগে দ্বিতীয় উইকেট পারভেজ হোসেন ইমনের সাথে ক্লার্ক গড়েন ৬৩ বলে ১২৮ রানের জুটি। পারভেজ ফিরে গেছেন ২৯ বলে ৩০* রানের ইনিংস খেলে। খুলনার সালমান ও মোহাম্মদ নাওয়াজ ৩টি করে উইকেট ভাগ কওে নেন।