সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
করোনার জেরে সংকটজনক পরিস্থিতির মধ্যে ক্রিকেট ফেরাতে গেলে লালার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা টানতেই হতো। মত অনিল কুম্বলের। একইসঙ্গে সমসাময়িক পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ব্যাট এবং বলের মধ্যে তুল্যমূল্য লড়াই আনতে পিচকে যথাযথ ব্যবহারের পক্ষে সায় দিয়েছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক।
আইসিসি ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান জানাচ্ছেন, বলে লালা ঘষার বিষয়টি থেকে ভাইরাস ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মহলের পরামর্শ মেনেই সমস্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ইন্ডিয়া ট্যুডে’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা কোচ বলেছেন, ‘এটা সম্পূর্ণভাবেই চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত। সংক্রমণ এড়াতে এটাই একমাত্র পথ ছিল।’
কুম্বলের সংযোজন, ‘আমরা জানি না শুধুমাত্র ঘামের ব্যবহার করে বলের পালিশ বজায় রাখা সম্ভব কীনা। তবে ঘামের পাশাপাশি এবার বলের জন্য পিচও সমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। আমার মতে পিচই করোনা পরবর্তী সময় ব্যাটসম্যান এবং বোলারদের মধ্যে সামঞ্জস্য রক্ষা করবে।’ একইসঙ্গে কুম্বলের মতে খুব ভালো সময় আসতে চলেছে স্পিনারদের জন্য। ক্রিকেট বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেই এগিয়েছে এবং সমাদৃত হয়েছে। তেমনই এই কঠিন সময়টাও ক্রিকেট জয় করবে বলে বিশ্বাস কুম্বলের।
তবে লালা বন্ধের সিদ্ধান্ত একমাত্র টেস্ট ক্রিকেটাই প্রভাব ফেলবে বলে মত কুম্বলের। ওয়ান-ডে কিংবা টি২০ বিশেষ প্রভাবিত হবে না বলেই জানিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। আইসিসি ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যানের কথায়, ‘লালা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা টেস্ট ক্রিকেটেই মূলত প্রভাব ফেলবে। কারণ ওয়ানডে কিংবা টি২০ ক্রিকেটের ক্ষেত্রে লালা ব্যবহার বন্ধ হওয়া নিয়ে কেউ কথা বলছে না। টি২০ ফর্ম্যাটকে করোনা পরবর্তী সময় সবচেয়ে কম সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।’ তবে কুম্বলের কথায়, বড় টুর্নামেন্টের ক্ষেত্রে সকল ক্রিকেটারের উপর সমান নজর দেওয়া সম্ভব নয়। তাই নিজের নিরেপত্তার দায়িত্ব ক্রিকেটারদের নিজেদেরই নিতে হবে।
উল্লেখ্য, একটা বড় অংশের বিরোধীতা সত্ত্বেও ক্রিকেট কমিটি প্রস্তাবিত লালা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞায় সম্প্রতি সিলমোহর দিয়েছে আইসিসি। একইসঙ্গে করোনার জেরে অন্তর্র্বতীকালীন সময়ের জন্য বাইশ গজে আরও একাধিক বদলে সিলমোহর পড়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে রয়েছে কোভিড১৯ রিপ্লেসমেন্ট, অতিরিক্ত ডিআরএস এবং আন্তর্জাতিক সিরিজে ঘরোয়া ম্যাচ অফিসিয়ালসদের ব্যবহার।
খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।
খেলা