ধুনিরপুল হতে রাহাত্তারপুল কার্যক্রমে প্রশাসক
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, নগরসেবায় ক্যারাভান একটি সামাজিক আন্দোলন। এ আন্দোলনের সূত্র ধরে আমি সামাজিক মঙ্গল চাই। তাই এ আন্দোলনে শরিক হতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই। যে এলাকাগুলোতে যাচ্ছি, সেখানে সমস্যার সূত্রগুলোকে নির্মূলের চেষ্টা করছি। যাতে পরের দিনই সে সমস্যাগুলো আবার তৈরি না হয়। প্রশাসন এবং জনসাধারণকে অনুরোধ জানাবো আমার এ উদ্যোগের সারথী হোন।
তিনি গতকাল বুধবার বিকেলে চকবাজার ধুনিরপুল হতে রাহাত্তারপুল পর্যন্ত চসিক এর প্রকৌশল, বিদ্যুৎ ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত টিম নিয়ে নগর সেবায় ক্যারাভান কার্যক্রমে এসব কথা বলেন।
প্রশাসক আরো বলেন, আমরা ক্যারাভান কর্মসূচিটি নগরীর মূল সড়কগুলোর পাশাপশি এলাকার অলিগলিতে বিস্তৃত করেছি যাতে সব এলাকার জনগণকে এ কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসতে পারি। আপনারা জানেন এ এলাকাটি অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ ঘিঞ্জি এলাকা। এখানে জলাবদ্ধতার সংকট রয়েছে যার কাজও চলমান। পাশাপাশি ভূমিদস্যুদেরও উৎপাত রয়েছে। যারা পানি নিষ্কাশনের মূল প্রণালী খালগুলো দখল করেছে, সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা তৈরি করেছে, অবৈধ দোকানপাট বসিয়েছে এমনকি করপোরেশনের লাইন থেকে বিদ্যুৎও চুরি করছে। তাদেরকে গণশত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছি এবং এদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ার আহ্বান জানাই।
তিনি আরো বলেন, ধর্ষণ একটি জঘন্যতম অপরাধ। দল-মত নির্বিশেষে এই অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী মৃত্যুদ-ে দ-িত করার বিধান মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করেছেন। আমাদের সমাজে ধর্ষকরা বিভিন্ন মুখোশে লুকিয়ে আছে। তাদের আশ্রয়দাতাদের চিহ্নিত করে সামাজিকভাবে প্রতিহত করতে হবে।
এলাকাবাসীর উদ্দেশে প্রশাসক বলেন, এ ধনিয়াপুল বাজারে কোন গণশৌচাগার নাই। তাই বাজারের ক্রেতা বিক্রেতাদের জন্য একটি গণশৌচাগার স্থাপনেরও আশ্বাস দেন তিনি।
কে বি আমান আলী রোড সংস্কার করায় এলাকাবাসী প্রশাসককে ধন্যবাদ জানান। এলাকার বিভিন্ন মোড়ে জনসাধারণ প্রশাসককে বিভিন্ন নাগরিক সমস্যা অবহিত করেন এবং ক্যারাভান কর্মসূচির প্রশংসা করেন। প্রশাসক জনগণকে নিয়মিত পৌরকর পরিশোধের অনুরোধ জানালে তারা দুই হাত তুলে পৌরকর পরিশোধের অঙ্গীকার করেন।
এসময় প্রশাসক রাহাত্তারপুল এলাকায় একটি কাঠের মিলের অবৈধ কাঠ, গাছের গুঁড়ি নালা ও ফুটপাতের উপর রাখায় সেগুলো তাৎক্ষণিক সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। মুরাদপুর এলাকায়ও নালার উপর দখল করে রাখা বিভিন্ন স্থাপনা, সø্যাব আগামী রোববারের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়ে বলেন, অন্যথা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানসহ মালামাল জব্দ করা হবে।
এ সময় প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, সাবেক কাউন্সিলর মো. সাইফুদ্দিন, নিজাম উদ্দিন নিঝু, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৗশলী ঝুলন কুমার দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল ইসলাম, মোহাম্মদ শাহিনুল ইসলাম, মো. নাজিম উদ্দিন, নোমান চৌধুরীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তীতে প্রশাসক শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে গুণগত মান ঠিক রেখে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার তাগাদা দেন। বিজ্ঞপ্তি