কোলেষ্টেরল এর কথা বললেই আমাদের চোখে এক ভিলেইন এর কথাই মনে হয়। আসলে কোলেষ্টেরল নিয়ে এত বেশী মিথস / ভয় ছড়ানো হয়েছে যে স্বাভাবিক ভাবেই আমদের এমনটা মনে হতেই পারে। এক্ষেত্রে জেনে রাখা ভালো কোলেষ্টেরল যে হার্টের রোগসমুহের কারণ এর কোন শক্ত ভিত্তি নেই। বরঞ্চ, পৃথিবীতে সবচেয়ে কোলেষ্টেরল সমৃদ্ধ খাবারের নাম মায়ের বুকের দুধ।
আবার, এল ডি এল কে খারাপ হিসেবে দেখানো হয়, অথচ এল ডি এল মস্তিষ্কে কোলেষ্টেরল সরবরাহ করে যা ব্রেইনের খাদ্য বলা যায়, যার স্বল্পতা ব্রেনের বিভিন্ন রোগসমুহের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আসলে, প্রকৃত ভিলেন হলো রক্তে উচ্চ ট্রাইগ্লিসারাইড। যা ইন্সুলিন রেজিসটেন্ট এর কারণ, হার্টের সমস্যার কারণ এবং ফ্যাটি লিভারের মতো নিরব ঘাতকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
১৯৯৪ সালে প্রকাশিত “দ্য কোলেষ্টেরল মিথস” এ দেখানো হয় কোলেস্টেরল কমানোর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে রয়েছে- ইনসুলিন রেজিসটেন্ট, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, অনিয়ন্ত্রিত রক্তের সুগার, লিভারের কর্মহীনতা, কম টেস্টস্টোরেন, যৌন আকর্ষন ও ক্ষমতা কমে যাওয়া, ভিটামিন ডি এবং বি ১২ এর মাত্রা কমে যাওয়া, মস্তিষ্কের কুয়াশা (বিষণ্নতা), ডিমেনশিয়া, আলজিমারস রোগ, স্মৃতিশক্তি হারানো, পেশীক্ষয়, এনজাইম (কো এনজাইম এ) ক্ষয় এবং সবশেষে স্তন ক্যান্সার।
তাই, যে কেউ কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধের সুপারিশ করলে, দয়া করে একটি দ্বিতীয় মতামত নিন৷ এই ওষুধ গুলোর খুব কম (<১%) উপকারিতা রয়েছে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রাকৃতিক ও ওষুধের বিকল্প গ্রহণ করুন। আপনার শরীরের বন্ধু কে চিনুন, শত্রুকে ও চিনুন। ভালো থাকুন।