চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, এলেম শিক্ষা, জ্ঞান অর্জন ও ধারণ প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ। এতে জীবন শুদ্ধ হয় এবং সামাজিক কর্তব্য পরায়ন হয়। সবচেয়ে বড় কথা মানবিকতাই হচ্ছে প্রত্যেক ধর্মের মূল বাণী। তাই মানবিকতা বিবর্জিত ধর্মবোধ অধর্ম ও আত্মবিনাশী দূরাচার। তিনি সোমবার পাহাড়তলী ওয়ার্ড ঝাউতলা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রোখসানা আক্তার হীরা ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে এতিম ও কোরআনে হাফেজদের মাঝে কোরআন শরীফ, উপহার সামগ্রী এবং খাবার বিতরণ অনুষ্ঠিানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে পাহাড়তলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাবেক ছাত্রনেতা ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সমাজকে পরিশুদ্ধ করতে হলে শুদ্ধাচারী ধর্ম চর্চা প্রয়োজন। আবার ধর্মের নামে যাতে অধর্ম চর্চা না হয় সেদিকেও মুরুব্বীদের খেয়াল রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমাদের সংগঠনে যাতে কোন সমাজ বিরোধী, জঙ্গী এবং মতলববাজ অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে নেতৃত্বকে সজাগ থাকতে হবে। এতে আরো বক্তব্য রাখেন, রোখসনা আক্তার হীরা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাইফুল করিম চৌধুরী, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি নূর মোস্তফা, সাবেক প্রধান শিক্ষক মোহাং মহসিন, আবদুস সালাম জাগিরদার, আবু বক্কর সিদ্দিকী, হায়দার আলী, রেজাউল করিম ইিন প্রমুখ। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, কোন গির্জা বা ইহুদী উপাসনালয়ে বোমা হামলা বা রক্তপাত হয় না। কিন্তু মসজিদে হয়। মসজিদে হামলা বিধর্মীরা করেন না, মুসলমান নামধারীরাই করে। ইতিহাস বলে এত ভ্রাতৃঘাতী হত্যা ও রক্তপাত এবং কলহ ও বিবাদ ইসলাম ছাড়া আর কোন ধর্মে নেই। তিনি আরো বলেন, ইসলাম সাম্য ও শান্তির ধর্ম। কোন কোন ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা ও হেফজ খানায় এক শ্রেণির দুরাচারী শিক্ষক কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ধর্ম সাধনের পরিবর্তে বিপথগামী করছে অশান্তি, নৈরাজ্য ও নাশকতায় প্ররোচিত করছে এবং কথিত জিহাদের নামে জঙ্গীবাদে উদ্বুর্ধ করছে। এই জঙ্গীবাদ ইসলাম ও মানবতার মহাশত্রু। এই শক্র যেন পয়দা না হয় সেদিকে দর্শীয় প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও অভিভাবকদের সর্তক থাকতে হবে। বিজ্ঞপ্তি
কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে যেন জঙ্গি পয়দা না হয়
উপহার সামগ্রী বিতরণকালে মেয়র