কোটা বাতিলের দাবিতে সড়ক অবরোধ

কোটা বাতিলের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: সুপ্রভাত

নিজস্ব প্রতিবেদক »

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৬ জুলাই) বিকেল পৌনে ৬টার দিকে ষোলশহর ২ নম্বর গেট এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। মোড়ের মাঝখানে গোল হয়ে বসে শিক্ষার্থীরা কোটাবিরোধী নানা স্লোগান দেন। এতে নগরের মুরাদপুর থেকে জিইসি যাওয়ার ব্যস্ততম সড়কটি বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের চার পাশে তৈরি হয় তীব্র ও দীর্ঘ যানজট।

কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে গত কয়েক দিন ধরে টানা আন্দোলন করে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এর আগে শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে নগরীর দুই নম্বর গেইট এলাকায় অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এতে এই সড়কে প্রায়ই এক ঘণ্টা  যান চলাচল বন্ধ ছিল।

গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ও আগের দিন বুধবার (৩ জুলাই) কোটা বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রাম-হাটহাজারী আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিলেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাঁদের মূলত চারটি দাবি রয়েছে। এগুলো হলো ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা। পরিপত্র অনুযায়ী দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে (পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ছাড়া)। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটাসুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোয় মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

এবার শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয়েছে মূলত হাইকোর্টের এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে রায়ের পর থেকে। ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে (৫৬ শতাংশ) কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর পর থেকে টানা সাড়ে পাঁচ বছর কোনো কোটা ছাড়াই নবম থেকে ১৩তম গ্রেডে নিয়োগ হয়। ২০২১ সালে ওই পরিপত্রের ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল হওয়ার অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে রিট করেন।

৫ জুন এই রিটের রায়ে পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকে শুরু হতে থাকে নানা আলোচনা-সমালোচনা এবং বিক্ষোভ ও আন্দোলন। গত বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের শুনানিতে হাইকোর্টের রায় স্থগিত হয়নি। আবেদনের শুনানি মুলতবি রাখা হয়েছে।