সুুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
নকআউট পর্বের দুই ম্যাচেই গোল করেছেন। ২৫ বছর পর ইংল্যান্ডের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে ওঠায় রেখেছেন দারুণ ভূমিকা। ইংলিশ ফরোয়ার্ড হ্যারি কেইনের সামর্থ্য নিয়ে কোনো সংশয় নেই স্ক্রাস্তেনসেনের। তবে ডেনিশ এই ডিফেন্ডার আস্থা রাখছেন নিজেদের রক্ষণভাগের ওপর। আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বললেন, কেইনকে আটকাতে পারবেন তারা। ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় মুখোমুখি হবে দুই দল। ইংল্যান্ডের সামনে প্রথমবারের মতো ইউরোর ফাইনালে ওঠার হাতছানি। প্রায় তিন দশক পর ফাইনালে ওঠার সুযোগ ডেনমার্কের সামনেও।
গ্রুপ পর্বের গোল খরা কাটিয়ে নকআউট পর্ব শুরু হতেই নিজেকে মেলে ধরেছেন কেইন। জাতীয় দলের সতীর্থ রাহিম স্টার্লিংয়ের মতো এরই মধ্যে তিন গোল করেছেন তিনি। শেষ ষোলোয় জার্মানিকে ছিটকে দেওয়ার পথে একটি এবং কোয়ার্টার ফাইনালে ইউক্রেনকে ৪-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দেওয়া ম্যাচে দুটি গোল করেন টটেনহ্যাম হটস্পারের এই ফরোয়ার্ড। কেইনের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতা আছে চেলসিতে খেলা স্ক্রাস্তেনসেনের। আর ডেনমার্ক দলের পিয়ের-এমিল হয়বিয়ারের ক্লাব সতীর্থ কেইন। ফলে ইংল্যান্ডের নাম্বার নাইন সম্পর্কে ভালো ধারণা আছে ডেনিশদের। ’ আমরা তার মান জানি এবং তাকে আটকাতে কি করতে হবে, সে বিষয়ে সবার ধারণা আছে। পিয়ের-এমিল হয়বিয়ারও কেইনকে জানে। কেইনের ব্যাপারে কিছু বিষয় সে আমাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারে। সব ফুটবলারের নিজস্ব কিছু বিষয় আছে এবং আমাদের অবশ্যই সেগুলোর সুযোগ নিতে হবে।’
’ফুটবলে কেইন সেরা ফিনিশারদের একজন, সে দীর্ঘকায়, শারীরিকভাবে তার সঙ্গে পেরে ওঠা কঠিন। তাছাড়া সে বল পায়েও ভালো। এ কারণে তার খুব কাছাকাছি যাওয়া উচিত হবে না।’ দল হিসেবে ইংল্যান্ডকে খুব একটা এগিয়ে রাখার পক্ষে নন স্ক্রাস্তেনসেন। ’আমার মতে, যে কারো বিপক্ষে খেলার মান আছে আমাদের। দল হিসেবে তারা আমাদের চেয়ে খুব বেশি ভালো দল, এমনটা আমি বলব না।’ কেইনকে নিয়ে সতর্ক ডেনমার্ক কোচ কাসপের হিউমান্দও। তবে তার ভাবনায় শুধু কেইন নয়, পুরো ইংল্যান্ড দল। ’কেইনকে নিয়ে আমরা সতর্ক। কিন্তু কেবল একজন খেলোয়াড়কে আটকে রাখার ছক কষতে পারি না। কীভাবে তারা আক্রমণ করে, তার সবটাই আমরা জানি। তাই ইংলিশদের আক্রমণ থামানোর জন্য কিছু কাঠামো সাজাচ্ছি আমরা।’ খবর বিডিনিউজের