কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহ আলম ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

সুপ্রভাত ডেস্ক »

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে খুনের ঘটনার প্রধান আসামি শাহ আলম (২৮) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগর পূর্বপাড়া এলাকার জানু মিয়ার ছেলে তিনি।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কুমিল্লা সদর উপজেলার চাঁনপুরস্থ গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও থানা পুলিশের সঙ্গে এই ‘বন্দুকযুদ্ধ’ ঘটে। এসময় তার হাতে থাকা ৭.৬৫ মডেলের একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করে পুলিশ।

রাত সাড়ে ৩টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পরিমল দাস। তিনি বলেন, “বুধবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁনপুরস্থ গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের আটক করতে জেলা ডিবি ও কোতোয়ালি থানা পুলিশের একাধিক দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি করলে উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়।”

গোলাগুলির একপর্যায়ে কয়েকজন দুষ্কৃতকারী পালিয়ে যায় বলে উল্লেখ করেন তিনি। গুলিবর্ষণ শেষে ঘটনাস্থল থেকে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই পিস্তল হাতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে শাহ আলম বলে শনাক্ত করে।

পরবর্তীতে আহত শাহ আলমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের দুইজন সদস্য আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য পুলিশ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দিবাগত রাতে মামলার ৩ নম্বর  আসামি নগরীর সুজানগর এলাকার রফিক মিয়া ছেলে মো. সাব্বির রহমান(২৮) ও মামলার ৫ নং আসামি নগরীর সংরাইশ এলাকার কাকন মিয়ার ছেলে সাজন(৩২) পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

২২ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর পাথুরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজের সামনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা। সোহেলের দেহ থেকে ৯ টি বুলেট পাওয়া যায়। মূলত তাকে রক্ষা করতে যেয়েই ৬০ বছর বয়সী হরিপদ নিহত হন।

কাউন্সিলর সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য এবং তার ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। নিহত হরিপদ সাহা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরও ৫ জন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জোড়া খুনের ঘটনায় গত ২৩ নভেম্বর রাতে কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সূত্র : টিবিএস