সুপ্রভাত ডেস্ক »
কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখা ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তার নাম ইকবাল হোসেন (৩৫)।

ইকবাল হোসেনকে গ্রেফতার করতে কয়েক দিন ধরে চলছে অভিযান। তিনি কুমিল্লা নগরীর ১৭নং ওয়ার্ড দ্বিতীয় মুরাদপুর-লস্কর পুকুর এলাকার নূর আহমদ আলমের ছেলে। তার বাবা মাছের ব্যবসা করেন।
ইকবালের সহযোগী হিসেবে এখন পর্যন্ত অন্তত চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মনে করছে, ইকবাল গ্রেফতার হলেই এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।
গত ১৩ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের ওই মণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়া যায়। এরপরই দেশের কয়েক স্থানে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটে।
সংবাদ মাধ্যমে সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্ত ব্যক্তির নাম ইকবাল হোসেন বলে প্রচারিত হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে কুমিল্লার পুলিশ সুপার বলেন, ‘অফিসিয়ালভাবে এখনও পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এই বিষয়ে যথাসময়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতিতে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে।’
তবে সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, ‘শনাক্ত ব্যক্তি নানুয়াদীঘির পাশের একটি মাজারের দিক থেকে পবিত্র কোরআন সাদৃশ্য একটি গ্রন্থ নিয়ে আসছেন।’ আরেক ফুটেজে দেখা যায়, ‘সেই কোরআন সাদৃশ্য গ্রন্থটি নিয়ে তিনি পূজামণ্ডপে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে হনুমানের হাতে থাকা গদাটি নিয়ে অন্য দিকে চলে যায়। পুলিশের দাবি এই ব্যক্তিই মণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রেখে এসেছেন।’