মতবিনিময়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী
শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, অপ্রয়োজনে যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনার্স কোর্স চালু, শাখা বৃদ্ধি করে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করলে শিক্ষার মানোন্নয়ন হয় না। কারিগরি শিক্ষা ও ট্রেড কোর্সের ওপর আমাদের জোর দিতে হবে। মন্ত্রী চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ট্রেড কোর্স চালুর প্রস্তাব করেন।
তিনি গতকাল রোববার বিকেলে কে বি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মানোন্নয়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন- শিক্ষা অর্জনে অনার্স, মাস্টার্স কোর্সকে শিক্ষাক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা যাবে না। অনার্স ডিগ্রি অর্জন করে জেন্টেলম্যান মানসিকতা নিয়ে বেকারত্ব ঘুরলে, তা দেশের জন্য বোঝা। এর চেয়ে কারিগরি, ট্রেডকোর্স বা পলিটেকনিক শিক্ষা অর্জনে বেকারত্ব দূর হবে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী খোরশেদ আলম সুজনের মত একজন দক্ষ, দ্রুতগতি সম্পন্ন বিচক্ষণ ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসেবে পাওয়ায় চট্টগ্রামবাসীকে ভাগ্যবান বলে মন্তব্য করেছেন। অল্প সময়ে প্রশাসক করপো রশনের সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে তা সমাধানের চেষ্টা করছেন। আগামীতে এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করা গেলে করপোরেশনের সার্বিক কার্যক্রমে শৃঙ্খলা ও গতিশীলতা ফিরে আসবে।
চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চসিক শিক্ষা বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সদস্য শিক্ষাবিদ হাসিনা জাকারিয়া, সিটি কর্পোরেশনের সচিব মুহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুুরী, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়–য়া, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ তাদের নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমস্যাগুলো উপমন্ত্রী বরাবরে উপস্থাপন করলে, তিনি তা মনোযোগের সাথে শুনেন।
শিক্ষকদের প্রশ্নের জবাবে উপমন্ত্রী বলেন, আপনাদের এমপিওভুক্তি এবং জায়গা থাকা সাপেক্ষে নতুন ভবন নিশ্চিত করা যাবে। এমপিও না থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ার যোগ্যতাই থাকে না। এমপিও অর্জনের জন্য প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক স্বীকৃতি অবশ্যই প্রয়োজন।
তিনি এ সময় করপোরেশনের শিক্ষা বিভাগকে ইউসেপ মডেলের শিক্ষা কারিকুলাম অনুসরণ করার আহ্বান জানান। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে চসিক অধিগ্রহণ করায় মন্ত্রী বিস্ময় প্রকাশ করেন। মন্ত্রী বলেন, অধিগ্রহণ তো করতে পারে একমাত্র সরকার, করপোরেশন তা কি করে করলো।
সভাপতির বক্তব্যে প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, সরকার এতো উন্নয়ন করছে তারপরও করপোরেশন পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন, শ্রেণিকক্ষের সংকট রয়ে গেছে। তিনি বলেন, বঙ্গন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি ছিলো অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বাধ্যতামূলক কারিগরি ও প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা। আজ উন্নয়নের এই পর্যায়ে শিক্ষার জন্য ভবনের অপ্রতুলতার কথা শুনতে হচ্ছে, এটা কাম্য নয়। বিজ্ঞপ্তি