সুপ্রভাত ডেস্ক »
চিত্রনায়িকা পরীমণির বাস্তব জীবন কোনো ট্র্যাজেডিক সিনেমার গল্পের চেয়ে কম নয়। বাবা-মায়ের অকাল মৃত্যু দেখেছেন। ব্যক্তিগত জীবনেও মুখোমুখি হয়েছেন বহু কঠিন পরিস্থিতির। এতসব ঝড়-ঝামেলার মধ্যে যার আশ্রয় ও স্নেহে বেঁচে আছেন পরী, তিনি তার নানা শামসুল হক গাজী। বলা যায়, পরীমণির আপনজন বলতে কেবল নানাই রয়েছেন। তাই নানাকে ঘিরে তার আবেগ-ভালোবাসার কমতি নেই। গ্রাম থেকে তাকে ঢাকায় নিয়ে এসে নিজের কাছেই রাখেন পরী। তবে মাস খানেক আগে পরীমণি যখন গ্রেফতার হন, তখন দু’জনেই একা হয়ে পড়েন।
পরীকে আদালতে তোলা হলে সেখানে ছুটে যান নানা শামসুল হক গাজী। তবে প্রথম শুনানিতে দেখা করতে পারেননি। অসহায়ের মতো ফিরে যেতে হয় দুঃখভরা মন নিয়ে। এরপরের শুনানিতে নাতনি পরীর সঙ্গে দেখা হয় নানা শামসুল হকের। সামান্য কথাও হয়। এদিকে রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুক পেজে একটি চিঠির ছবি শেয়ার করেছেন। যেটা লিখেছেন তার নানা। এতে লেখা রয়েছে, ‘নানু, আমি ভালো আছি। কোনো চিন্তা করবা না। তোমার সাথে শীঘ্রই দেখা দেব।’ নিচে লেখা শামসুল হক গাজীর নাম। ছবিটির ক্যাপশনে পরীমণি লিখেছেন, ‘একটা চিঠি। আমার সব শক্তির গল্প এখানেই।’ ধারণা করা হচ্ছে, পরীমণি যখন কারাবন্দি ছিলেন, তখনই এই চিঠি লিখেছেন তার নানা। বিষয়টি নিয়ে জানার জন্য তাকে কল করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বনানীর বাসা থেকে পরীমণিকে আটক করে র্যা ব। এরপর তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হয়। কয়েক দফায় রিমান্ড শেষে তাকে পাঠানো হয় কাশিমপুর কারাগারে। প্রায় এক মাস বন্দী থাকার পর গত ১ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন পরী।