নিজস্ব প্রতিনিধি, কাপ্তাই »
ভারী বর্ষণে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় বেশ কয়েকটি এলাকায় ছোট বড় পাহাড়ের মাটি ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে কেউ হতাহত না হলেও বাড়ছে আতঙ্ক। এই টানা বর্ষণ অব্যাহত থাকলে যেকোন সময় ঘটতে পারে মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনা।
শনিবার উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়ন, রাইখালী ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা যায় সড়কের পাশে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। টানা বর্ষণে পানির স্রোতে পাহাড়ের মাটি নরম হয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। সেইসাথে কিছু কিছু সড়কে পানি জমাট হয়ে যান চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হতেও দেখা গেছে।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এই টানাবর্ষণ অব্যাহত থাকলে পাহাড় ধসের ঝুঁকি বাড়বে। এতে করে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের বিপদ হতে পারে। তাই সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া পানির স্রোতে বড়ইছড়ি-ঘাগড়া সড়কেও মাটি সরে গিয়ে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এসব জায়গায় দ্রুত সংস্কার হওয়া প্রয়োজন না হলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। তাই এবিষয়ে কর্তৃপক্ষের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
এদিকে ভারীবর্ষণে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত দেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। যা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের জানান, শনিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট দিয়ে সর্বমোট ২১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। তৎমধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিটে ৪৬ মেগাওয়াট, ২ নম্বর ইউনিটে ৪০ মেগাওয়াট, ৩ নম্বর ইউনিটে ৪৭ মেগাওয়াট, ৪ নম্বর ইউনিটে ৪০ মেগাওয়াট এবং ৫ নম্বর ইউনিটে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। লেকে পানি বাড়লে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরোও বাড়বে বলে তিনি জানান। এছাড়া কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কাপ্তাই লেকে ৯৪ দশমিক ২০ এমএসএল (মিনস সি লেভেল) পানি থাকার কথা থাকলেও শনিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত ৯৬ দশমিক ৭৯ এমএসএল পানি রয়েছে। অর্থাৎ কাপ্তাই লেকে পানির পরিমাণ বর্তমানে বেশি রয়েছে। এদিকে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকলে কাপ্তাই লেকে পানির পরিমাণ আরো বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।