কলম্বিয়াকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা কাপ আর্জেন্টিনার

আর্জেন্টিনা-১ কলম্বিয়া-০ ( গোলদাতা: মার্টিনেজ)

কোপা কাপ হাতে মেসিসহ আর্জেন্টিনা দলের উল্লাস। ছবি: এএফপি

সুপ্রভাত স্পোর্টস ডেস্ক »

১১২ মিনিটে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। অনবদ্য গোল মার্টিনেজের। বাঁধনহারা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন মেসি। এদিন তিনি পুরো সময় খেলতে পারেননি। ৬৫ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন। কান্নায় ভেঙে পড়েন মহানায়ক। মধুরেণ সমাপয়েৎ।

কোপা আমেরিকা গেল সেই আর্জেন্টিনাতেই। ফাইনালে নীল-সাদা জার্সিধারীরা হারাল কলম্বিয়াকে। এক্সট্রা টাইমে মার্টিনেজের অনবদ্য গোলে কোপা চ্যাম্পিয়ন হল নীল-সাদা জার্সিধারীরা। মার্টিনেজ যখন গোল করলেন, তখন খেলার বয়স ১১২ মিনিট।  তার পরে ম্যাচে ফেরার মরিয়া চেষ্টা করেছিল কলম্বিয়া। কিন্তু দিনটা যে আর্জেন্টিনার।

মেসি চোট পেয়ে উঠে গিয়েছিলেন ৬৫ মিনিটে। রেফারির শেষ বাঁশির পরে বাঁধনহারা উচ্ছ্বাসে ভাসতে দেখা গেল তাঁকেও। মেসি উঠে যাওয়ায় চাপে পড়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু দি মারিয়া, ডি পল, মার্টিনেজরা অধিনায়কের জন্য জীবনপণ করলেন মাঠে। নির্ধারিত নব্বই মিনিটে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। অতিরিক্ত সময়ে আর্জেন্টিনার হয়ে গোলটি করেন মার্টিনেজ।

নির্ধারিত সময়ে শুরু হয়নি এদিনের কোপা ফাইনাল। আর্জেন্টিনা-কলম্বিয়া ফাইনাল প্রায় ৮০ মিনিট দেরিতে শুরু হয়। মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা। টিকিট ছাড়াই মাঠে ঢোকার চেষ্টায় অসংখ্য দর্শক। নিরাপত্তাকর্মীরা কিছুতেই তাদের নিরস্ত করতে পারছিলেন না।

বৈধ টিকিট রয়েছে এমন অনেক দর্শক মাঠে ঢুকতে গিয়ে আহত হন। এমন অবস্থায় ফাইনাল শুরুর নির্ধারিত সময় দফায় দফায় পিছিয়ে দেওয়া হয়।

খেলার শুরুতে কলম্বিয়া চাপ তৈরি করে আর্জেন্টিনার উপরে। ৬ মিনিটে কর্ডোবার শট নীল-সাদা জার্সিধারীদের পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। তার পরেও নিরন্তর চলে কলম্বিয়ার আক্রমণ। ২০ মিনিটে মেসির শট বাঁচান কলম্বিয়ার গোলকিপার ভারগাস। প্রথমার্ধে কলম্বিয়াকে অনেক সপ্রতিভ দেখিয়েছে। চলে কলম্বিয়ার আধিপত্য। ৩৫ মিনিটে কলম্বিয়ান ডিফেন্ডারের কড়া ট্যাকলে চোট পান মেসি। তিনি মাঠে ফিরলেও সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধে আর্জেন্টিনাকে উজ্জ্বল দেখায়। দি মারিয়ার শট  বাঁচান কলম্বিয়ান গোলকিপার। বেশ কয়েকবার কলম্বিয়ার রক্ষণে আক্রমণ তুলে আনে তারা। কিন্তু ৬৫ মিনিটে হৃদয় ভাঙে আর্জেন্টিনীয়দের। চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন মেসি। কাঁদতে থাকেন তিনি।

মেসির জায়গায় মাঠে নামানো হয় নিকোলাস গঞ্জালেসকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই কর্ডোবার ট্যাকলে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান গঞ্জালো মনতিয়েল। তাঁর জায়গায় মাঠে নামেন নাহুয়েল মলিনা। এদিকে নিকো গঞ্জালেস কলম্বিয়ার জালে বল জড়ালেও তা অফসাইডের অজুহাতে বাতিল হয়ে যায়।  ৮৭ মিনিটে বক্সের মধ্যে গোলকিপারকে একা পেয়ে গোল করতে পারেননি দি মারিয়া। আর অ্যাডেড টাইমে দি মারিয়ার সেন্টারে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি  নিকো গঞ্জালেস। নব্বই মিনিটে খেলা গোলশূন্য থাকায় কোপা ফাইনাল গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এক্সট্রা টাইমের দ্বিতীয়ার্ধে গোলের দারুণ সুযোগ তৈরি করে ফেলেছিল কলম্বিয়া। কিন্তু সেখানে সতর্ক ছিলেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার। তার পরই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। মার্টিনেজের দুর্দান্ত গোলে আর্জেন্টিনা ফের কোপা চ্যাম্পিয়ন।