সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
শুধু মাঠে নয়, লড়াই হয় একাদশে জায়গা পাওয়ারও। দলে একই ধরনের খেলোয়াড় থাকলে পারফরম্যান্সের বিচারে সুযোগ হয় একাদশে। এই হিসাবে কলকাতা নাইট রাইডার্সে সাকিব আল হাসানের ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ সুনিল নারাইন। সংযুক্ত আরব আমিরাত পর্বের আইপিএলে ক্যারিবিয়ান স্পিনার ভালো করে চলেছেন। সাকিবের তাই একাদশে জায়গা হচ্ছে না। কিন্তু আজ (মঙ্গলবার) দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে নারাইন ব্যাট-বলে যে পারফরম্যান্স দেখালেন, তাতে সাকিবের একাদশে জায়গা পাওয়া আরও কঠিন হয়ে উঠলো!
শারজায় বল হাতে নারাইন ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। ব্যাট হাতেও ছিলেন দুর্দান্ত। প্রয়োজনের সময় ১০ বলে ঝড়ো ২১ রানের ইনিংস খেলে কলকাতার জয়ের পথ তৈরি করেন। যে পথ ধরে নিশিত রানার অপরাজিত ৩৬ রানে ভর করে কলকাতা ৩ উইকেটে হারিয়েছে দিল্লিকে। আর এই জয়ে ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ চারে জায়গা করে নিয়েছে ইয়োন মরগানরা। দিল্লি সমান ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। নারাইনের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পর সাকিবের একাদশে ফেরার পথ যে কঠিন হয়ে উঠলো, বলার অপেক্ষা রাখে না। ক্যারিবিয়ান স্পিনার সুযোগটা কাজে লাগিয়ে পারফর্ম করে যাচ্ছেন, তাই সাকিব তার সামর্থ্য দেখানোর সুযোগ পর্যন্ত পাচ্ছেন না। আইপিএল শুরুর পর কলকাতা চার ম্যাচ খেলে ফেলেছে, অথচ সাকিব বেঞ্চ গরম করছেন শুধু!
শারজার স্লো উইকেটের সুবিধা পেয়েছেন বোলাররা। তাই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৭ রানের বেশি করতে পারেনি দিল্লি। আইপিএলে ফিরে স্টিভেন স্মিথ নামেন ওপেনিংয়ে। ৩৪ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৩৯ রান করেছেন তিনি। আরেক ওপেনার শিখর ধাওয়ান ২০ বলে ৫ বাউন্ডারিতে করেন ২৪। অধিনায়ক ঋষভ পান্ত ৩৬ বলে ৩ বাউন্ডারিতে খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। এই তিনজন ছাড়া দিল্লির কেউই যেতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘরে।
কলকাতার সব বোলারই ছিলেন কার্যকরী। দিল্লিকে অল্পতে আটকে রাখতে ভূমিকা রেখেছেন লকি ফার্গুসন (২/১০), নারাইন (২/১৮) ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার (২/২৯)।
১২৮ রানের লক্ষ্যটাও কঠিন হয়ে উঠেছিল কলকাতার জন্য। তবে রানার ৩৬* ও নারাইনের ২১ রানে ১০ বল আগে ৭ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কলকাতা। ৩০ রান করেছেন ওপেনার শুবমান গিল।দিল্লির সবচেয়ে সফল বোলার আভেশ খান। ৩ ওভারে ১৩ রান দিয়ে তার শিকার ৩ উইকেট। আর একটি করে উইকেট নিয়েছেন আনরিখ নর্কিয়া, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, লতিত যাদব ও কাগিসো রাবাদা।