ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্র্বতী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর গত ছয় মাসে গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের প্রায় ৯৬টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বেকার হয়ে পড়েছে প্রায় ৬০ হাজার শ্রমিক। শুধু শ্রমিক নয়। সে সঙ্গে বেকার হয়েছে কারখানাগুলোর অনেক কর্মকর্তাও । পত্রিকান্তরে জানা গেছে, বেকার হওয়া শ্রমিকরা কাজের সন্ধানে বিভিন্ন কারখানায় ধর্ণা দিলেও কাজ পাচ্ছে না। বেকার হয়ে যাওয়ায় তাদের জীবনযাপন করা দুরুহ হয়ে পড়েছে। কীভাবে সংসার চালাবে, সন্তানদের লালন-পালন করবে, এ দুশ্চিন্তায় দিশেহারা। শুধু যে উল্লেখিত শিল্পাঞ্চলে কারখানা বন্ধ হয়েছে, তা নয়। দেশজুড়ে আরও অনেক শিল্পকারখানা বন্ধ হয়েছে। এর সংখ্যা কয়েকশ’ হবে। সংবাদপত্রের হিসাব মতে, বেকারের সংখ্যাও কয়েক লাখ হবে। এই বিপুল সংখ্যক শিল্পকারখানা বন্ধ হওয়ায় একদিকে বেকারত্বের হার বেড়েছে, অন্যদিকে অর্থনীতিতে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি, মানুষের আয় কমে যাওয়া, বেকারত্ব বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানসহ নানা ক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতি চোখে পড়ছে না। অন্যদিকে অর্থনীতির সব সূচক নিম্নগামী। বিনিয়োগেও আশাব্যঞ্জক খবর নেই। আস্থাহীনতার কারণে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী হাত গুটিয়ে বসে আছে। অন্তর্র্বতী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরপর ধনী দেশ ও দাতা সংস্থাগুলো বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিলেও তার কোনো ইতিবাচক প্রভাব অর্থনীতিতে পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এসব অর্থ পাওয়া যাচ্ছে কিনা, কিংবা পাওয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে কিনা, তারও কোনো খোঁজ নেই। মানুষ আশা করেছিল, অন্তর্র্বতী সরকার দ্রুততার সাথে অর্থনীতিকে একটা স্বস্তির জায়গায় নিয়ে যেতে পারবে। উল্টো পথে হাঁটা অর্থনীতিকে সঠিক পথে আনতে পারবে।
আমরা মনে করি সরকারের উচিত দুটি ক্ষেত্রে দ্রুত পরিবর্তন আনা। তা হলো অর্থনীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। তাতে এই সরকারের ওপর মানুষের আস্থা অনেক বেড়ে যাবে।
এ মুহূর্তের সংবাদ