মহানগর আওয়ামী লীগের বৃক্ষ চারা রোপণ অনুষ্ঠানের আ জ ম নাছির
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এক যুগ আগে ক্ষমতা গ্রহণকালে জীবন, পরিবেশ ও জলবায়ুর মাঝে ভারসাম্য রড়্গায় বৃড়্গায়নকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। ক্ষমতা গ্রহণের সময় এদেশে মোট বনভূমির পরিমাণ ছিল মাত্র ৭ শতাংশ। ভূমিদস্যুদের আগ্রাসন এবং বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজে ব্যাপকভাবে বৃড়্গের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার বিপরীতে তিনি বর্তমান সময় পর্যন্ত দেশে বনভূমির পরিমাণ ১৭ শতাংশে উন্নীত করেছেন। তিনি বিশ্ব প্রকৃতি বিজ্ঞানীদের মতামতের ভিত্তিতে বাংলাদেশে মোট বনভূমির পরিমাণ ২৫ শতাংশে উন্নীত করে জীবন ও প্রকৃতির সমন্বয় সাধনের লড়্গ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। তিনি মুজিববর্ষে সারাদেশে এক কোটি বৃক্ষ রোপণের অঙ্গীকার ঘোষণা করেছেন। তার এই অঙ্গীকারের সহযাত্রী হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ প্রকৃতি ও পরিবেশ রড়্গায় ব্যাপকভাবে সবুজায়নকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
তিনি রোববার সকালে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম প্রাঙ্গনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বৃক্ষচারা রোপণ ও বিতরণ অনুষ্ঠানে একথাগুলো বলেছেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা জীবন ধারণের জন্য যে অক্সিজেন গ্রহণ করি তা সবুজবৃক্ষ ও উদ্ভিদ থেকে পেয়ে থাকি। আর আমাদের নিঃসৃত কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে জীবন ও প্রকৃতির মাঝে ভারসাম্য রড়্গা করে বৃক্ষ। করোনাকালে আমরা বুঝতে পেরেছি অক্সিজেনের গুরুত্ব কতখানি। করোনা উপসর্গে আক্রান্ত হয়ে যাদের শ্বাসকষ্ট হয়েছিল তারা অক্সিজেনের জন্য ছটফট করেছেন। অপ্রতুল অক্সিজেনের জন্য অকালে অনেকের প্রাণ ঝড়ে গেছে। আমরা বিশ্বাস করি এ সংকট একদিন কেটে যাবে।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা যারা এ প্রকৃতিকে অবহেলা করেছি সেই প্রকৃতি প্রতিশোধ নিচ্ছে। আমরা আজ অনেক কাছের মানুষ ও প্রিয়জনকে হারিয়ে ফেলেছি। হারিয়ে যাওয়া প্রিয়জনের মিছিল কত দীর্ঘ হবে জানি না। তবে আশা বাঁচিয়ে রেখে জীবন ও প্রকৃতিকে ভালোবাসতে হবে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বৃক্ষচারা রোপণ অনুষ্ঠানে উপসি’ত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো: হোসেন, শ্রম সম্পাদক আবদুল আহাদ, কার্যনির্বাহী সদস্য গাজী শফিউল আজিম, বখতিয়ার উদ্দিন খান, আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, হাজী বেলাল আহমদ, থানা আওয়ামী লীগের হাজী ছিদ্দিক আলম, রেজাউল করিম কায়সার, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আবু মোহাম্মদ আফছার উদ্দিন চৌধুরী, সৈয়দ মো. জাকারিয়া, নাজিম উদ্দিন, ফয়েজ উলস্নাহ বাহাদুর, আবদুল মান্নান, আবদুলস্নাহ আল ইব্রাহিম, কায়সার মালিক, কাউন্সিলর গোলাম মো. জোবায়ের, শৈবাল দাশ সুমন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মিথুন বড়-য়া, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, ইফতেখারুল আলম জাহেদ, আবদুস সালাম মাসুম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি