সুপ্রভাত ডেস্ক :
করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য গণস্বাস্থ্যে কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট সম্পূর্ণ কার্যকর নয় বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া বুধবার (১৭ জুন) এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিএসএমএমইউর মিল্টন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা সম্পর্কে এ মন্তব্য করেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেছেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের রোগ শনাক্তকরণের গণস্বাস্থ্যের কিট কার্যকরী নয়। তিনি বলেন, উপসর্গের প্রথম দুই সপ্তাহে (তাদের) কিট ব্যবহার করে শুধুমাত্র ১১ থেকে ৪০ শতাংশ রোগীর করোনা শনাক্তকরণ সম্ভব।
দেশে গেল ৮ মার্চ প্রথম করোনারোগী শনাক্ত হওয়ার পর ১৭ মার্চ টেস্টিং কিট উদ্ভাবনের ঘোষণা দেয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। তাদের দাবি, এই কিটের মাধ্যমে নমুনা পরীক্ষা করে ১৫ মিনিটের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে সক্ষম। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষক ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে এই কিট তৈরি করেন ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাঈদ জমির উদ্দিন ও ড. ফিরোজ আহমেদ। এরপর বিদেশ থেকে কাচামাল আমদানি করে কিট উৎপাদনে যায় প্রতিষ্ঠানটি।
নিয়ম অনুযায়ী কিটটি নিবন্ধনের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে আবেদন করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর গত ৩০ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে তাদের উদ্ভাবিত ‘র্যাপিড ডট ব্লট’ কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমইউ অথবা আইসিডিডিআরবিতে নমুনা জমা দেওয়ার অনুমতি দেয়।
গত ২ মে বিএসএমএমইউর কর্তৃপক্ষ কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে। আর ১৩ মে নিজেদের উদ্ভাবিত ২০০ কিট বিএসএমএমইউতে জমা দেয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।