নিজস্ব প্রতিবেদক :
অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিলের ব্যবস্থা করে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩০০ করোনা রোগীর জীবন রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে পাচলাইশ থানা পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ওসি আবুল কাশেম ভুইয়া জানান, ওই হাসপাতালের ৬৩টি অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিল করার জন্য সীতাকুণ্ড’র কুমিরায় মোস্তাফা-হাকিম গ্রুপের অক্সিজেন প্লান্ট এ নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অক্সিজেন রিফিল করা সম্ভব হচ্ছিল না। এ কারণে প্রায় ৩০০ রোগীর জীবন কঠিন সংকটের মুখোমুখি হয়।
এমন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক বিষয়টি জানার সাথে সাথে ওসি আবুল কাশেম ভুইয়াকে জানান। তিনি দ্রুত সিলিন্ডারগুলো রিফিল করার নির্দেশ দেন। তিনি চট্টগ্রামে বিনামূল্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিল করার কাজে যুক্ত যুবক সৈয়দ ইকরামুল হকের সাথে যোগাযোগ করেন।
ইকরামুল রাজি হলেও তাদের রিফিলিং সেন্টার বন্ধ হওয়ার কারণে পরের দিন সকালে হলে সিলিন্ডারগুলো রিফিলের ব্যবস্থা করার কথা ওসিকে জানান।
এ কথা শুনে যেকোনো মূল্যে অক্সিজেন রিফিলে সহায়তার জন্য ইকরামুলকে অনুরোধ জানান। ইকরামুল যোগাযোগ করলে সীতাকুণ্ড উপজেলার বার আউলিয়া ফুলতলা জিইডি সুবেদার অক্সিজেন প্লান্ট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াহিদ ফেরদাউস সবগুলো সিলিন্ডার রিফিল করে দেয়ার জন্য রাজি হন।
উপপুলিশ কমিশনার বিজয় বসাকের নির্দেশে পাঁচলাইশ থানা থেকে এসআই ইমাম হোসেনের নেতৃত্বে একটি মোবাইল টিম গ্যাস সিলিন্ডারগুলো নিয়ে যাওয়া হয় বার আউলিয়ার জিইডি সুবেদার অক্সিজেন প্লান্টে। এরপর প্লান্ট কর্তৃপক্ষ সবগুলো সিলিন্ডার রিফিল করে দেন।
ওসি আবুল কাশেম ভুইয়া বলেন, ‘করোনার দুর্যোগকালে শুধু অক্সিজেনের অভাবে মানুষ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চলে যাচ্ছিল। ঠিক সেসময় উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক স্যারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও পাচলাইশ থানা পুলিশের চেষ্টা এবং সমাজকর্মী সৈয়দ ইকরামুল হকের সহযোগিতায় ও জিইডি সুবেদার অক্সিজেন প্লান্ট কর্তৃপক্ষের বদান্যতায় অসংখ্য প্রাণ বিপন্নতা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। পুলিশ সবসময় মানুষের সেবায় পাশে ছিল, আছে এবং পাশে থাকবে।’