নিজস্ব প্রতিবেদক :
পাহাড় কেটে গড়ে উঠা ডিটি-বায়েজীদ সংযোগ সড়ক এখন নগরবাসীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র। সাপ্তাহিক ছুটির দিন নয়, প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে ফৌজদারহাট প্রান্ত থেকে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন পর্যন্ত এলাকায় মানুষের জটলা লেগে থাকে। আর রোডের পাশে একটি লেক তৈরি হওয়ায় মানুষের বিনোদনের কেন্দ্রও যেনো এটি। মঙ্গলবার বিকেলে দেখা যায় পাহাড় ঘেরা এই রোডে মানুষের জটলা।
শুধু এই রোডে নয়, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, নেভাল, সিআরবি সাত রাস্তার মোড়, জামালখান মোড়সহ উন্মুক্ত স্থানগুলোতে বাড়ছে মানুষের জটলা। গত চারমাস ধরে মানুষ প্রায় বন্দি ছিল। অনেকে নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হয়নি। এখন করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু কমে যাওয়ায় এবং সরকারের পক্ষ থেকে মানুষের চলাফেরা শিথিল করায় উন্মুক্তস্থানগুলোতে বাড়ছে মানুষের উপস্থিতি। মানুষ যেনো একটু হাঁফ ছেড়ে বাঁচছে।
এবারের এসএসসি পাশ করে এখনো কলেজে ভর্তি হতে পারেনি আজমাঈন মাহমুদ অর্জন। গাড়ি নিয়ে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে এসেছিলেন ডিটি-বায়েজীদ সংযোগ সড়কে। তিনি বলেন, ‘অনেকদিন ধরে বের হতে পারছি না। এখন করোনার প্রভাব কমায় বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে বের হলাম। মনে হচ্ছে যেনো বুক ভরে শ্বাস নিতে পারছি। এতোদিন বন্দি ছিলাম।’
আজমাঈন মাহমুদের মতো এমন অনেক মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে বের হচ্ছে। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে শুক্রবার ঘুরতে গেলেন হালিশহরের বাসিন্দা মামুন হোসাইন। তিনি বলেন, ‘অনেকদিন পর পরিবার নিয়ে বের হলাম। খুব ভালো লাগছে।’ এদিকে শুক্রবার বিকেলে জামালখান মোড়েও দেখা যায় মানুষের প্রাণবন্ত আড্ডা।
এদিকে নগরীর রেস্টুরেন্টগুলোর স্থবিরতাও কেটে যাচ্ছে। প্রতিদিন বিকেল থেকে দেখা যায় স্টেডিয়ামপাড়ার রেস্টুরেন্টগুলোতে মানুষের উপস্থিতি। একইভাবে নগরীর শপিংমলগুলোতেও মানুষের উপস্থিতি চোখে পড়ে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর সেন্ট্রাল প্লাজায় গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতাদের উপস্থিতি রয়েছে। এসময় কথা হয় পিয়ারা বেগম নামের এক নারীর সাথে। তিনি বলেন, ‘গত রোজার ঈদে পরিবারের সদস্যদের জন্য কিছু কিনতে পারিনি। কোরবানির ঈদে বাড়িতে যাব। তাই আপনজনদের জন্য কিছু কিনতে এসেছি।’
পাহাড়তলী সিডিএ মার্কেটের দ্বিতীয় তলার বিয়ে বাজার দোকানের সেলসম্যান আবু তালেব বলেন, ‘মানুষজন কিছু আসছে। অন্যান্য বছর কোরবানির ঈদে মানুষের উপস্থিতি না থাকলেও এবার কিছু কিছু ক্রেতা আসছে। রোজার ঈদে কিনতে পারেনি বলে হয়তো এবার ক্রেতাদের আগমন।’
চট্টগ্রামে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন উন্নতির দিকে। চলতি মাসের শুরু থেকেই চট্টগ্রামে ধীরে ধীরে কমছিল করোনা আক্রান্তের হার। গতকাল ৮২৪ নমুনায় ১৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। চট্টগ্রামে এপর্যন্ত ১৩ হাজার ৫০৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনায় মারা গেছেন ২২৭ ও সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭৬৫ জন।
টপ নিউজ