বিবিসি বাংলা :
বাংলাদেশে মোট কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩৬,৭৫১ জন। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে এই রোগে ৫২২ জন মারা গেলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৪৫ জন এবং মোট সুস্থ হয়েছেন ৭,৫৭৯ জন। তিনি জানান, নমুনা পরীক্ষা করে রোগী শনাক্তের এই হার ২১.৫৬ শতাংশ। এর আগে সোমবার সর্বোচ্চ ১,৯৭৫ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছিল বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৪জন পুরুষ এবং সাতজন নারী। তাদের মধ্যে ১০ বছরের নীচে একজন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছে।
এছাড়া ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের সাতজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের তিনজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের একজন, এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের একজন।
মারা যাওয়া ব্যক্তিদের ১৫ জন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। চট্টগ্রাম বিভাগের চারজন এবং বরিশাল বিভাগের চারজন। তাদের ২০ জন হাসপাতালে মারা গেছেন এবং বাসায় একজন মারা গেছেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঢাকার বাসিন্দা রয়েছে। সোমবার পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, ঢাকা মহানগরীতেই কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৭৫ জন।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি এন্ড মেডিসিনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ লক্ষ ৯৯ হাজার মানুষ। তাদের মধ্যে ৩ লক্ষ ৪৬ হাজার ৩২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্বের মোট ১৮৮টি দেশ বা অঞ্চলে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে।
বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয় আটই মার্চ। তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১৮ই মার্চ।
ঈদের ছুটি শেষেও সবাইকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা ও সবসময় মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেন অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।