নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাংবাদিক পুলিশসহ নতুন করে ৫৪ জন করোনায় আক্রান্তহয়েছেন। এরমধ্যে মহানগরীর ২১ জন ও উপজেলার ৩৩ জন। চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজে সোমবারের ২২২টি নমুনা পরীড়্গায় ৫৬ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ৫৬ জনের মধ্যে চট্টগ্রামের ৫৪ জন, বাকি দুই জন খাগড়াছড়ি জেলার। চট্টগ্রামে নতুন করে ৫৪ জন আক্রান্তহওয়ায় করোনায় মোট আক্রানেত্মর সংখ্যা ৮৪৫ জন। এদের মধ্যে সুৃ হয়ে বাড়ি গেছে ১১৩ জন ও মারা গেছেন ৩৩ জন।
এদিকে সোমবার চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের করোনা শনাক্ত হওয়া ৫৪ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ২১ জন ও উপজেলার ৩৩ জন। উপজেলার ৩৩ জনের মধ্যে পটিয়ার ৯ জন, সীতাকুণ্ডের ৮ জন, হাটহাজারির ৭ জন, বাঁশখালীর ২ জন, লোহাগাড়ার ৫ জন, চন্দনাইশের ১ জন ও মিরসরাইয়ের ১ জন করোনা আক্রান্তহয়েছেন।
সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, সোমবার চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ১২৪টি নমুনার মধ্যে ২৭টি পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ২৭টি পজিটিভের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ২১টি ও উপজেলার ৬টি। উপজেলার ৬টি হলো পটিয়া-১, চন্দনাইশ ১, মিরসরাই ১, সীতাকু- ১, হাটহাজারি ১ ও বাঁশখালী ১ জন। মহানগরীর ২১ জনের মধ্যে তিনজন সাংবাদিক রয়েছেন। তিন সাংবাদিকের মধ্যে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের মোহাম্মদ আলমগীর এবং চ্যানেল ২৪ এর জোবায়ের মনজু এবং মোহাম্মদ হারম্নন। এর আগে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের রিপোর্টার আহসানুল কবির রিটনও করোনায় আক্রান্তহয়েছিলেন। এছাড়া বাকি ১৮ জনের মধ্যে আলফালাহ গলিতে একজন, দামপাড়ায় তিনজন পুলিশ সদস্য, মিস্ত্রীপাড়ায় দুই জন, হালিশহর ছোটোপুল পুলিশ লাইনে একজন, বন্দরটিলায় একজন, শিল্প পুলিশের একজন, পাহাড়তলীতে একজন, আকবরশাহ মাজার এলাকায় একজন ও বায়েজীদ টেক্সটাইলে তিনজন আক্রান্তহয়েছেন।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৪টি নমুনার মধ্যে ২৪টি পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ২৪টির মধ্যে ২২টি চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার এবং দুটি খাগড়াছড়ি জেলার। চট্টগ্রামের ২২টির মধ্যে পটিয়ার ৮জন, সীতাকু-ের ৭ জন, হাটহাজারির ৬ জন ও বাঁশখালীর একজন রয়েছেন। অপরদিকে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ২৪টি নমুনার মধ্যে ৫ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই পাঁচ জনের সবাই লোহাগাড়া উপজেলার বাসিন্দা। তবে গতকাল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবের রিপোর্ট প্রকাশ হয়নি। এবিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী বলেন, রিপোর্ট তৈরিতে বিলম্ব হয়েছে। এটি মঙ্গলবার প্রকাশ করা হবে।
এদিকে অনতুন করে ৫৪ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ৮৪৫ জন। এর আগে ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিলস্না ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রান্তহয়েছিল। এরমধ্যে সাতকানিয়ার এক বৃদ্ধ একজন মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন, পটিয়ায় ৬ বছরের এক শিশু মারা গেছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দেড় ঘন্টার মধ্যে, সরাইপাড়া লোহারপুল এলাকার এক নারী মারা যাওয়ার পর করোনায় শনাক্ত হয়েছেন, নিমতলা এলাকার এক নারী মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন, সরাইপাড়া লোহারপুল এলাকায় এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন, সাগরিকার এক নাইটগার্ড মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন, মোহরার এক নারী মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন এবং সর্বশেষ এনায়েত বাজারের লোকটি মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হলো। এছাড়া ৬ মে পাহাড়তলী লাকী হোটেল মোড় এলাকার বাসিন্দা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এছাড়া গত ৬ মে মারা যাওয়ার পর নমুনা রিপোর্টে করোনা শনাক্ত হয়েছেন তিনজন, ৭মে বৃহস্পতিবার সাগরিকা এলাকার এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন। ৮মে রাতে বিআইটিআইডিতে আইসোলেসনে থাকা অবস্থায় মারা গেল ৫৫ বছর বয়সী এক পুরম্নষ। এছাড়া গত ১২ মে মঙ্গলবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা গেল হাটহাজারির এক নারী। করোনা শনাক্ত নিয়ে ৩৭ নম্বর হালিশহর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর গত ১৩ মে সকালে মারা যাওয়ার পর রিপোর্টে করোনা পজিটিভ এসেছে। এছাড়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে আরো তিনজন। এনিয়ে চট্টগ্রামে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৩৩ জনে দাঁড়ালো। এছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ১১৩ জন।