সুপ্রভাত ডেস্ক :
বাংলাদেশে র্যাপিড টেস্ট করার অনুমতি না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে সরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবরেটরিতে অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু করা হবে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই তথ্য জানিয়েছেন। শরীরে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পরীক্ষার জন্য সাধারণত র্যাপিড টেস্ট করা হয়ে থাকে। শরীরের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটলে নিজে থেকে একপ্রকার প্রতিরোধী ক্ষমতার তৈরি হয়। সেটাই অ্যান্টিবডি।
সচিবালয়ে একটি সভা শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলছেন, ”করোনার র্যাপিড টেস্ট করার কোন সিদ্ধান্ত নেই, তবে এখন থেকে অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হবে। অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হবে না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পরে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ”
তবে সরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবরেটরিতে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হবে বলে তিনি জানান।
অ্যান্টিজেন হচ্ছে ভাইরাসের প্রোটিন, যা শরীরের ভেতর প্রবেশ করে কোষের প্রোটিন তৈরির পদ্ধতি ব্যবহার করে নিজের প্রতিলিপি তৈরি করতে শুরু করে। শরীরের ভেতর ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, প্যারাসাইটস প্রবেশ করলেই শরীর সেটাকে অ্যান্টিজেন হিসাবে গণ্য করে।
কারো পরীক্ষায় অ্যান্টিজেন পাওয়া গেলে তিনি ভাইরাসে আক্রান্ত বলে ধরে নেয়া হয়।
অ্যান্টিবডি অ্যান্টিজেনকে ঠেকাতে কাজ করে। প্লাজমা থেরাপি অথবা টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে আসলে সেই অ্যান্টিবডি তৈরিতে সহায়তা করা হয়।