চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে করোনা শনাক্তের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে টেস্ট, টেস্ট এন্ড টেস্ট। এর কোনো বিকল্প নাই। অথচ এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া কোনো অসুস্থ রোগী বেসরকারি হাসপাতালে গেলে তাদেরকে ভর্তি করানো হচ্ছে না। এতে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত চট্টগ্রামের রোগীরা। এটা কোনভাবেই কাম্য নয়। ইউরোপ-আমেরিকার পর করোনা সুনামি এখন হামলে পড়েছে এশিয়ায়। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া এখন করোনার বিষাক্ত ছোবলে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে চলেছে। আতঙ্কে কাঁপছে দেশ, বাড়ছে সংক্রমণ। কোনক্রমেই রোধ করা যাচ্ছে না এর বিস্তার। প্রতিদিনই তৈরি হচ্ছে নতুন রেকর্ড। গত ৯ দিনে মারা যায় ৩২৫ জন, যা মোট মৃত্যুর ৩৩ শতাংশ। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, আমরা সংক্রমণের দিকে অবস্থান করছি। আমরা যদি আরো দু-তিন সপ্তাহ কঠিনভাবে নিজেদের সংযত রাখতে পারি, তাহলে আমাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কিছুটা দেরিতে হলেও সরকার লকডাউন প্রশ্নে অনেকটা কঠোর অবস্থান নিয়েছে, যা করোনা প্রতিরোধে কিছুটা হলেও সহায়ক হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
আজ ১১ জুন (বৃহস্পতিবার) সকালে নগরীর ছোটপুল এলাকায় এমএ সালাম নগর স্বাস্থাকেন্দ্রে করোনা টেস্টিং বুথ উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।
এ সময় কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, এইচএম সোহেল, চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, ত্বত্তাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, মেডিক্যাল অফিসার ডা. বিজয় তালুকদার, ডা. সুশান্ত বড়–য়া, ব্র্যাক’র আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মো. হানিফ উদ্দিন, সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, প্রকৌশলী আনোয়ার জাহান, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য বেলাল আহম্মেদ, মামুনুর রশিদ মামুন, আনিসুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে নগরে নমুনা সংগ্রহের আরো চারটি বুথ চালু করেছে সিটি কর্পোরেশন। এর মধ্যে গত ৭ জুন বিবিরহাটস্থ ওয়ার্ড অফিস ও চান্দগাঁওস্থ হামিদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপিত দুটি বুথ চালু করা হয়। গত ৫ জুন উদ্বোধন করা হয় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও উত্তর কাট্টলী কর্নেলহাটস্থ হাশেম নাজির হেলথ সেন্টারে স্থাপিত দুটি বুথ। নগরে মোট ১২টি বুথ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে চসিকের। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ৬টি বুথ বসানোর কথা। এমএ সালাম নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ ইতোমধ্যে পাঁচটি বুথ বসানো হয়েছে। প্রথম ধাপের বুথগুলো স্থাপনে সহায়তা করছে ব্র্যাক বাংলাদেশ। বাকি বুথগুলো চসিকের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বসানো হবে। দ্বিতীয় ধাপে বুথ স্থাপনে প্রাথমিকভাবে আন্দরকিল্লাস্থ পুরাতন নগর ভবন, মেমন টু হাসপাতাল, অক্সিজেন আবদুর রহিম দাতব্য চিকিৎসালয় ও বন্দরটিলা মাতৃসদন হাসপাতালকে নির্বাচন করা হয়েছে।
পরে মেয়র আগ্রাবাদ এক্সেস রোড এলাকায় সিটি কনভেশন সেন্টারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে চালু হতে যাওয়া আইসোলিশন সেন্টার পরির্দশনে যান। এই সময় তিনি ওই সেন্টারের কাজের সঠিক অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করেন। আগামী ১৫ জুনের মধ্যে এই আইসোলিশন সেন্টার উদ্বোধন কথা রয়েছে। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর