নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা চিকিৎসাসেবায় নতুন করে যুক্ত হচ্ছে আরো ১০০ শয্যা। বর্তমানে ১৫০ শয্যায় চলছে করোনা রোগীদের চিকিৎসা। কিন্তু হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। শয্যা সংকটের অভাবে হাসপাতালের বারান্দায় ঠাঁই মিলছে রোগীদের।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৯ নম্বর নাক-কান-গলা ওয়ার্ড ও ২০ নম্বর চক্ষু ওয়ার্ড এই দুটিতেই নতুন ১০০ শয্যা গড়ে তোলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ওয়ার্ড দুটি প্রস্তুত করার প্রায় প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এদিকে, ১০০ শয্যা বাড়ানোর কাজ চলার পাশাপাশি সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্টের মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয়েছে ৩০০ অক্সিজেন লাইন। এছাড়া হাসপাতালে সাতটি আইসিইউ শয্যা ছাড়াও ১০টি হাই ফ্লো ন্যাসাল ক্যানোলা রয়েছে।
এ বিষয়ে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির সুপ্রভাতকে বলেন, ‘আমরা ওয়ার্ড দুটি প্রস্তুত করে রাখছি। কিন্তু আপাতত আগের ১৫০ শয্যাতেই করোনা চিকিৎসাসেবা চলবে। যেহেতু এটি সরকারি হাসপাতাল, সেক্ষেত্রে রোগী আসলে আমরা ফিরিয়ে দিতে পারি না। তাই পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট থেকে ৩০০ অক্সিজেন লাইন প্রস্তুত করা হয়েছে। ৩০০ রোগীকে এই প্ল্যান্ট থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব হবে। বর্তমান সময়ে এটি করোনা রোগীদের জন্য বেশি প্রয়োজন। হাসপাতালে ১০টি ন্যাসাল ক্যানোলা রয়েছে। সামনে আরোকিছু যোগ হবে।’
জানা যায়, চট্টগ্রামে বর্তমানে জেনারেল হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিইউসহ ১০০ শয্যা, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে ৩০ শয্যা এবং ৫০ শয্যার বেসরকারি চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা চলছে। কিন্তু চট্টগ্রামে প্রতিনিয়তই বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
গত ১৫ মে মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ চমেক হাসপাতালের একাংশকে কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে চালুর অনুমোদন দেয়। অনুমোদনের পর হাসপাতালের নিচতলায় জরুরি বিভাগের পাশের ক্যাজুয়াল্টি, ফিজিক্যাল মেডিসিন এবং চর্ম ও যৌন রোগ-এই তিনটি ওয়ার্ড অন্যত্র সরিয়ে হাসপাতালের মূল প্রবেশপথের বাম পাশের পুরো ব্লকটি ‘করোনা ব্লক’ করা হয়। বর্তমানে ওই ব্লকে ১৫০ শয্যা রয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭২২০ জন। এর মধ্যে ৪৯০৪ জন মহানগর এলাকায় ও ২২১৬ জন উপজেলা এলাকায়। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ১৫৫ জন। বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৬ জন। মোট সুস্থতার সংখ্যা ৮৯৫ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে ৬০৬ জন ও আইসোলেশনে আছেন ২৫৪ জন।
টপ নিউজ